তালতলীতে আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ইটভাটা, হুমকিতে ফসলি জমি Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




তালতলীতে আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ইটভাটা, হুমকিতে ফসলি জমি

তালতলীতে আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ইটভাটা, হুমকিতে ফসলি জমি

তালতলীতে আইনের তোয়াক্কা না করে অবৈধ ইটভাটা, হুমকিতে ফসলি জমি




তালতলী প্রতিনিধি॥ বরগুনার তালতলীতে আইনের তোয়াক্কা না করে ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া ফসলি জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে ইটভাটা। এতে স্বাস্থ্য ঝুঁকির পাশাপাশি চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে পরিবেশ। একই সাথে উজাড় হচ্ছে বন ও ফসলের জমি। বছরের পর বছর এভাবে চললেও মাথা ব্যথা নেই প্রশাসনের।

 

 

উপজেলার করইবারীয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামে ইট ভাটায় পুড়ছে হাজার হাজার মন কাঠ। ফলে উজাড় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ ফসল, ঔষধিসহ নানা প্রজাতির গাছ। লোকালয়ে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাছাকাছি ঝাড়ালালী গ্রামের ফসলি জমির বড় একটি অংশের উপর নির্মিত হয়েছে হোসেন ব্রিকস (এইচবিএ)।

 

 

ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ তে আছে, আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার ও ফসলি জমির এক কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। কিন্তু কাগজের নিয়মনীতির সাথে বাস্তবের চিত্রের মিল পাওয়া যায়নি।

 

 

সরজমিনে কড়ইবাড়ীয়া ইউনিয়নের ঝাড়াখালী গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে, হোসেন ব্রিকস (এইচবিএ) এ সকাল-বিকাল দেদারছে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। ভাটাটিতে প্রায় শতাধিক শ্রমিক কাজ করছেন।

 

 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই এলাকার কয়েক জন কৃষক দৈনিক অধিকারকে জানায়, এই অবৈধ ইটভাটার কারণে এ এলাকার ফসলি জমি ব্যাপক হুমকির মুখে পরেছে ও আশপাশের বসতবাড়ির গাছপালাও মরে যাচ্ছে। এলাকায় শিশু থেকে বৃদ্ধ মানুষের মধ্যে শ্বাসকষ্ট রোগ দেখা দিয়েছে।

 

 

কিন্তু ভাটার মালিক মো. হোসেন খুব প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করতে পারছেন না। তাছাড়া এর আগেও কয়েকবার ভাটা মালিককে নামমাত্র জরিমানা করেই দায় সারছেন প্রশাসন। এসব বিষয়ে ইট ভাটার মালিক মো.হোসেনর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি কোন কথা করতে রাজি হয়নি।

 

 

তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম জানান, দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামে ইট ভাটার কারণে ফসলী জমি হুমকির মুখে পরেছে। ওই এলাকার কৃষকরা তাদের জমিতে বছরে একবার ফসল চাষ করে। কিন্তু ইটভাটা বন্ধ হলে দুই বা তিন ফসলি জমিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব। এছাড়া এই ইটভাটার কারণে স্থানীয় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তিনি।

 

 

তালতলী উপজেলা নির্বাহি অফিসার কায়সার হোসেন জানান, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তর এর সাথে কথা হয়েছে। তারা আসবে এবং যদি অবৈধ হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে জানান, দ্রুতই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ইটভাটাটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD