ঝালকাঠিতে ফুটপাতে ঈদের কেনাকাটার ধুম Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:১২ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ঝালকাঠিতে ফুটপাতে ঈদের কেনাকাটার ধুম

ঝালকাঠিতে ফুটপাতে ঈদের কেনাকাটার ধুম

ঝালকাঠিতে ফুটপাতে ঈদের কেনাকাটার ধুম




ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদের এখন মাত্র ক’দিন বাকি। কয়েকদিনের ব্যবধানে উদযাপিত হতে যাচ্ছে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষদের ঈদের কেনাকাটার ধুম পড়েছে ফুটপাথের দোকানে।

 

 

সাধ আর সাধ্য অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটায় নিজ পছন্দসই পোশাক কিনতে চান সব শ্রেণির মানুষ। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষও মেতে উঠেন ঈদ কেনাকাটায়। ঈদুল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হয়ে উঠছে ঈদের কেনাকাটা।

 

 

 

ঈদ উপলক্ষে সবার জন্য কিছু একটা কিনতে হবে। প্রিয়জনকে দিতে হবে সাধ্যমতো ঈদ উপহার। বিশেষ করে গত দুই দিন সরকারি ছুটি থাকায় মার্কেটমুখী হয়েছেন বেশির ভাগ মানুষ। যদিও শহরের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির কেনাকাটায় একমাত্র ভরসা ফুটপাথ।

 

 

প্রধান সড়কের পাশে এবং অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে হকারদের ঈদ আয়োজন। ঈদের নতুন পোশাক আর সাজসজ্জার চাহিদা মেটাতে উচ্চবিত্তদের জন্য যেমন আছে বড় বড় শপিংমল-অভিজাত বিপণিবিতান, তেমনি নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য আছে ফুটপাথ। সারাবছর জেলার বিভিন্ন স্থানে ফুটপাথগুলোতে পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকতে না দেখলেও ঈদের সময় ফুটপাথে বেশ কিছু দোকানি বসে। এসব দোকানে ক্রেতাদেরও দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়।

 

 

শুধু নিম্ন আয়ের নয় বেশ কিছু ধনী ব্যক্তিদেরও দেখা গেছে ফুটপাথে কেনাকাটা করতে। ফুটপাথে সব বয়সীদের জন্য আছে পোশাক। শিশুদের পোশাক, জুতা, থ্রি-পিস, শার্ট ও লুঙ্গিসহ আছে অন্যসব পণ্য। দোকানিরা ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে দোকানগুলোতে ঈদকে সামনে রেখে বেশি পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন।

 

 

শহরের মার্কেটগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে সর্বত্র মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সদর উপজেলার বাউকাঠি থেকে জেলা শহরে পুরো পরিবারের জন্য কেনাকাটা করতে এসেছেন মিজান।

 

 

তিনি বলেন, ফুটপাথের দোকানগুলোতে এক সঙ্গে সবই সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যায়। তাই ঈদের শপিংটার জন্য এই জায়গাটাই শ্রেয়। মার্কেটে নারীদের পোশাকসামগ্রী শাড়ি, থ্রি-পিস, শিশুদের পোশাক, থান কাপড়ের দোকান, জুয়েলারি শপ, ব্যাগ, স্যান্ডেল-জুতা, শিশুদের খেলনাসহ ঘর সাজানোর বিভিন্ন পণ্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার্য পণ্যের সমাহার। আছে দর্জির দোকান। ফুটপাথজুড়ে রয়েছে হকারদের দৌরাত্ম্য।

 

 

দোকানিরা জানান, এবার বেশি বিক্রি হচ্ছে জর্জেটের ওপর কাজ করা থ্রি- পিস, বিদেশী পোশাকের মধ্যে ভারতীয় বুটিকস আইটেমের থ্রি-পিস, লন, ভয়েল ও শার্টিনের থ্রি-পিস। এ ছাড়া দেশীয় থ্রি পিসের কাপড়ের মধ্যে প্রিন্টের থ্রি- পিস, ব্লক ও বাটিকের বিভিন্ন ডিজাইন করা থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে। তা ছাড়া পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার, গয়না, সেন্ডেল ও ব্যাগ, সেই সঙ্গে প্রসাধনীও বিক্রি হচ্ছে।

 

 

এ দিকে, জুতা থেকে শুরু করে শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, শাড়ি, থ্রি-পিস, কমসেটিকস, পারফিউম, কী নেই এখানে। ঈদ সামনে রেখে পুরো ফুটপাথগুলোই এখন ঈদ মার্কেট। যদিও এখানে সারি সারি দোকান, এসি নেই, নেই কোনো ঝলমলে আলোকসজ্জা। এমনকি ক্রেতা আকর্ষণে নেই র‌্যাফেল ড্র। তবে তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা বলা যায় এসব অস্থায়ী মার্কেটই। কিছু পয়সা বাঁচাতে এ পাড়া থেকে ও পাড়ার ফুটপাথের দোকানগুলো ঘুরে তারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পোশাক। অপেক্ষাকৃত কম দামে ভালো জিনিস কিনতে চাকরিজীবীরাও আসছেন এসব দোকানে। শহরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

 

 

বিক্রেতারা জানালেন, ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে বেচাকেনাও ততই বাড়ছে। ফুটপাথে শিশু ও মেয়েদের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হকার মাহমুদুর রহমান। এখানে পোশাক-পরিচ্ছদ যে দামে বিক্রি হয় তা অন্যান্য বড় শপিং মলে বিক্রি হয় দ্বিগুণ দামে।

 

 

মাহমুদ বলেন, মার্কেটের দোকানের ভাড়া গুণতে হয় অনেক বেশি। ফুটপাথ তো আর তেমন নয়। তা ছাড়া আমরা সরাসরি বিভিন্ন গার্মেন্ট থেকে মালামালের লট কিনে আনি। ফলে আমরা কম দামে কিনতে পারি। তাই বিক্রিও করি কম দামে। তবে কেনাবেচা বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। ফুটপাথের মার্কেটভেদে ছেলেদের শার্ট বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪০০ টাকা, জিনস প্যান্ট ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা, টি-শার্ট ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মেয়েদের থ্রি-পিস ৩৫০ থেকে ৯০০ টাকা, শাড়ি ৪৫০ থেকে ১০০০ টাকা, শিশুদের থ্রি-কোয়ার্টার জিনস প্যান্ট ২৫০ টাকা, গেঞ্জির সেট ২০০ থেকে ৫০০ টাকা, ফ্রক ও টপস ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, শাড়ি ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা এবং ছেলে ও মেয়ে শিশুদের জন্য হাতাকাটা গেঞ্জি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD