সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে বাড়ির পাশের ঘরে টিভি দেখতে গিয়ে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে ৫ম শ্রেণিতে পডুয়া একছাত্রী। গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে এঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দিনের বেলায় থানায় মামলা দায়ের করতে গেল বাধা দেয়া হয়। পরে রাতের বেলা মামলা করেছে ওই ছাত্রীর পরিবার। পরে ১২ অক্টোবার মামলা দায়ের করা হলেও ১৬ অক্টোবর দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হয়।অভিযুক্ত খলিল মোল্লা (৪২) রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত খাদেম মোল্লার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে একই বাড়ির মৃত খাদেম আলীর ছেলে খলিল মোল্লার ঘরে টিভি দেখার জন্য ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক দেয়। টিভি দেখার জন্য সে খলিলের ঘরে গিয়ে খাটের ওপর বসে টিভি দেখতে থাকে। হঠাৎ খলিল মোল্লা ওই ছাত্রীর বুকে একাধিকবার হাত। এ সময় ওই স্কুলছাত্রী চিৎকার দিলে খলিল দ্রুত অন্য ঘরে চলে যায়।
এ বিষয় নির্যাতনের শিকার ওই স্কুলছাত্রী জানায়, বিকেল বেলা খলিল কাকার ঘরে আমি টিভি দেখতে যাই। আমি ঘরে উঠে সামনের রুমের বিছানার ওপর বসে টিভি দেখতে থাকি হঠাৎ খলিল কাকা আমার পাশে বসে আমার বুকসহ বিভিন্ন স্থানে হাত দিতে থাকলে আমি চিৎকার করি।
মামলার বাদী ও ভিকটিমের খালা জানান, গত ১০ তারিখ বিকেলে খলিল মোল্লার ঘরে আমার বোনের মেয়ে টিভি দেখতে গেলে সে (খলিল) যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্য তার (ছাত্রী) ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তার চেয়েও দুঃখজনক হলো- এ ঘটনায় আমি মামলা করতে গেলে খলিলের বড় ভাই ফরিদ মোল্লা আমাকে বাধা দেন। পরে তারা আমাকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে। এতে রাজি না হয়ে আমি মামলা করবো বলে জানাই। আমাদের থানায় যাবার কথা শুনে খলিল বিভিন্ন স্থানে তার লোকজন দিয়ে পাহারা বসায়। কাজেই সেদিন আমরা থানায় যেতে পারিনি। পরে গত ১২ অক্টোবর রাতে আমি আমার ভগ্নিপতি (ছাত্রীর বাবা) ঝালকাঠি সদর থানায় গিয়ে একটি এজাহার দায়ের করি।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত খলিল মোল্লা ব্যক্তিগত মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ঝালকাঠি সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের মিয়া জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামিকে ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।
Leave a Reply