জল কাদায় একাকার রাস্তা Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




জল কাদায় একাকার রাস্তা

জল কাদায় একাকার রাস্তা

জল কাদায় একাকার রাস্তা




মঠবাড়িয়া প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার অনেক গ্রামীণ রাস্তায় এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এসব রাস্তার অধিকাংশ কাদা মাটির। বৃষ্টি বা জোয়ারের পানি উঠলেই জল কাদায় একাকার হয়ে যায় গ্রামীণ মেঠোপথের এ রাস্তাগুলো। এ আধুনিকতার যুগে উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নে এমন কর্দামক্ত একটি বেহাল রাস্তার সন্ধান মিলে।

 

 

কর্দমাক্ত রাস্তার কারনে বছরের পর বছর ভোগান্তিতে থাকেন এলাকাবাসী। গ্রামীন গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটিত বর্ষা মৌসুমে হাঁটু সমান কাদা পানি থাকে। এ কারনে স্থানীয় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ প্রায় দশ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। প্রায় ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য অনেকবার ধরণা দিয়েও কোনো সঠিক সমাধান মিলছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

 

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার দাউদখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড বড়হারজী বাজারের জামে মসজিদের পাশ দিয়ে ধলাই হাওলাদার বাড়ির সামনে দিয়ে চিরুখালী বাজার পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে কর্দামক্ত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ওই রাস্তাটি দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েন। কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী এবং জরুরি রোগীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে প্রসূতি রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়াও এ অঞ্চলের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে কৃষকদের কষ্টের সীমা থাকে না।

 

 

স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী মিম আক্তার জানায়, রাস্তায় কাদা থাকায় স্কুলে যেতে খুব কষ্ট হয়। তাই স্কুলে যেতে মন চায় না।

 

 

অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রেদওয়ান রাকিব জানান, বৃষ্টির সময় প্রতিদিনই জামাকাপড় কাদা পানিতে নষ্ট হয়। কলেজে যেতে হলে সঙ্গে আলাদা পোশাক রাখতে হয়।

 

 

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তাটির জন্য দীর্ঘদিন ধরেই কষ্ট ভোগ করছি। বর্ষার দিনে ছেলে-মেয়েদের নৌকা করে স্কুলে পৌঁছে দিতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই এই রাস্তায় রিকসা ভ্যান ও মোটর সাইকেলসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে আমাদের ভোগান্তির শেষ থাকে না।

 

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা স্থানীয় এমপি সাহেবের কাছে বহু বার বলা হয়েছে। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার একাধিক বার মাপ ঝোপ নিয়েছে। হবে হবে বলেও রাস্তাটি পাকা করণ হচ্ছে না।

 

 

দাউদখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুল হক খান রাহাত দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বরাদ্দ পাওয়ার চেষ্টা চলছে।

 

 

স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, বর্তমান পেক্ষাপটে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়া সারাদেশের ন্যায় মঠবাড়িয়াতে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বর্তমানেও বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের কাজ চলমান রয়েছে। আশাকরি এ রাস্তাটির কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD