রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
এইচ এম হেলাল: সাময়িক পরীক্ষার মূল্যায়ন খাতায় নম্বর কম দেয়ার কারণ জানতে চাওয়ার অপরাধে বরিশাল নগরীতে নবম শ্রেনীর এক ছাত্রী পিটিয়ে আহত করেছে শিক্ষক। মারধরের ফলে ওই শিক্ষার্থী অচেতন হয়ে পড়লে প্রায় আধাঘন্টা পর তাকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায় শিক্ষকরা। মেরুদন্ডে আঘাত পাওয়া চিকিৎসকরা তাকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেয়। ঘটনার দুইদিন পর ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন আহতের পরিবার। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করলেও তা কতটুকু কার্যকর হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আহতের অভিভাবক।
এদিকে ওই ছাত্রী আহত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষকের ব্যাঙাত্মক মন্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। আহত সূত্রে জানা যায়, নগরীর ব্যাপ্টিষ্ট মিশন স্কুলে গত সোমবার পরীক্ষার মূল্যায়ন খাতা দেখানো হয় ক্লাশে। এ সময় নবম শ্রেনীর ছাত্রী লামিয়া পরীক্ষায় কম নাম্বার পাওয়ায় শিক্ষকের কাছে কারণ জানতে চায় তার সহপাঠী তানিয়া। এতে তানিয়ার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে শিক্ষক মোসাদ্দেক ডাস্টার দিয়ে মারধর করে। ডাস্টারের আঘাতে তানিয়া ক্লাশেই অচেতন হয়ে পড়ে। এ ঘটনার প্রায় ৩০ মিনিট পরেও তার জ্ঞান না ফেরায় শিক্ষকরা তাকে দ্রুত শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়। দায়িত্বরত চিকিৎসক তানিয়ার মের“দণ্ডে আঘাতের কারণে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশ দেন। গতকাল বুধবার তানিয়াকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসেন তার অভিভাবক। এদিকে এ ঘটনায় শিক্ষক মোসাদ্দেক’র বির“দ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে তানিয়ার পিতা কালাম সর্দার। অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে ব্যাপ্টিষ্ট মিশন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেরী সুজনী সমদ্দার বলেন, অভিযোগ তদন্তে একজন ছাত্রীসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামীকাল (অর্থাৎ আজ বৃহস্পতিবার) প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এদিকে আহত তানিয়ার পিতা কালাম সর্দার বলেন, আমার মেয়ে অপরাধ করলে আমাদেরকে জানানো যেতো। শিক্ষার্থী পেটানোর ব্যাপারে সরকারি বিধিনিষেধ থাকলেও একজন শিক্ষক কিভাবে আমার কিশোরী মেয়েকে মারধর করলো। এদিকে তানিয়া আহত হওয়ার পর খবর পেয়ে স্কুল প্রধান মেরী সুজনী সমদ্দার ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্যাঙাত্মক মন্তব্য করেছে বলে জানিয়েছে তানিয়ার সহপাঠীরা। বিষয়টি স্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ায় এরকমটা বলেছেন তিনি। তবে একজন প্রধান শিক্ষক এ ধরণের ব্যাঙাত্মক মন্তব্য করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply