গলাচিপায় বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির টাকা দপ্তরির পকেটে Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




গলাচিপায় বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির টাকা দপ্তরির পকেটে

গলাচিপায় বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির টাকা দপ্তরির পকেটে

গলাচিপায় বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রির টাকা দপ্তরির পকেটে




গলাচিপা প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিনা মূল্যের পাঠ্যবই বিক্রি করার সময় হাতেনাতে পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের দপ্তরি মো. শহিদ ইসলাম খান (৫৬) ও স্থানীয় একটি দোকানের কর্মচারী মো. মজিদ চৌকিদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপর অভিযুক্ত মো. মিলন হাওলাদার পলাতক।

 

 

এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

 

মামলা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো. শাহিদুল ইসলাম খান ২০২১ সালের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ৫০০ কেজি পাঠ্যবই কালোবাজারে বিক্রি করে দেন। বকুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ধলু ফকিরের হাটে মিলন হাওলাদার (দোকানের মালিক) ও মজিদ চৌকিদারের (দোকানের কর্মচারী) কাছে বিক্রি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত হন। পরে পুলিশে খবর দিয়ে কালোবাজারে বিক্রীত পাঠ্যবইগুলো উদ্ধার করা হয়।

 

 

এ ঘটনা সম্পর্কে পাতাবুনিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু হানিফ বলেন, আমি পটুয়াখালী থাকায় এ ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানি না। স্কুল কমিটি নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

 

এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কোনো বিদ্যালয়ে বই অতিরিক্ত থেকে গেলে নিয়ম অনুযায়ী উপজেলা বই বিতরণ ও সংরক্ষণ কমিটির কাছে ফেরত দিতে হবে। কিন্তু তারা তা না দিয়ে কালোবাজারে বিক্রি করে দেয়, যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

 

গলাচিপা থানার ওসি এমআর শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, সরকারি পাঠ্যবই বিক্রির অভিযোগে ওই স্কুলের একজন দপ্তরিসহ তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত দুজন মো. শহিদুল ইসলাম খান ও মজিদ চৌকিদারকে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয়। অপর অভিযুক্ত মিলন হাওলাদার পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD