শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন
গলাচিপায় প্রতিনিধি॥ গলাচিপায় উপজেলার কাটাখালী বাজারে রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে অপহরণের ঘটনায় আসামী গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে ৭ জন পুলিশ ও দুইজন সংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন, গলাচিপা ওসি (তদন্ত) মো. হুমায়ুন কবির, এসআই সহিদুল, গাজী ফজলুর রহমান, আল মামুন, এএসআই মেহেদী, শাহদাৎ, রিয়াজ আহত হয়েছেন। এছাড়া মাইটিভির উপজেলা প্রতিনিধি হাসান এলাহী ও এশিয়ান টেলিভিশনের সাব্বির আহম্মেদ ইমনসহ অন্তত ১১জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, রবিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার রতনদীতালতলী ইউনিয়নের কাটাখালী বাজার এলাকা থেকে ওই এলাকার শহীদ হাওলাদারের ছেলে মো. জাহিদকে গলাচিপা পৌর এলাকার ৭-৮ জন যুবক অপহরণের সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে অপহৃত যুবক জাহিদকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন অপহরণকারী গলাচিপা পৌর এলাকার রায়হান হাওলাদার (২৫), রুবেল সিকদার (২২), সুজন খন্দকার (২১) বেল্লালকে (৩০) ধাওয়া করে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে গলাচিপা থানার এসআই মো. সহিদুল ইসলাম অপহরণকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে আসার সময় পথে রতনদীতালতলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মো. রিয়াজ খলিফার সাথে বাকবি-া হয় এবং রিয়াজ আসামীদের থানায় নিতে বাধা দেয়।
এসময় রিয়াজের নেতৃত্বে ২০-২২ জন সংঘবব্ধ একটি দল পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে পথ আটকে দেয়। খবর পেয়ে গলাচিপা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আটকে পড়া পুলিশ উদ্ধার ও উপজেলার রতনদীতালতলী ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মো. রিয়াজ খলিফা (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক শাহরিয়ার সিফাত (২৫), খোকন(২২) ও আবদুর রশিদ (৫৫) নামের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে । এ ঘটনায় রিয়াজ খলিফাকে প্রধান আসামী করে মোট সাত জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের নামে গলাচিপা থানার এসআই মো. সহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে রবিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেন।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গলাচিপার রতনদীতালতলী ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকায় অপহরণের আসামী গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply