বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ অপরাহ্ন
কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী গার্ডার ব্রিজের নির্মানাধীন কাজ দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। যোগাযোগের একমাত্র পুরনো ব্রিজটি ধসে পড়েছে আরও ১১ দিন আগে। সেতুটি ধসে মারা যায় কৃষক আনেচ প্যাদা। আহত হয় আরও চারজন। এরপর থেকে পূর্ব মধূখালী, পশ্চিম মধুখালী, মেলাপাড়া, আজিমদ্দিন, তেগাছিয়া, গোলবুনিয়া, চরপাড়া, সাফাখালী, আরামগঞ্জ, ইসলামপুর গ্রামের মানুষ যোগাযোগে চরম দূর্ভোগে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। তাঁদের প্রতিদিন চরম ঝুঁকি নিয়ে সকাল-বিকাল চলাচল করতে হচ্ছে।
অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হয়ে জানান, বর্তমানে দুই পাড়ের ১০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে আছে। তবে খালি মানুষ চলাচল করছে একটি স্টিল বডির ট্রলার নদীর মাঝখানে আড়াআড়ি করে বেধে রেখে। উপজেলার পূর্বমধুখালী আর পশ্চিম মধুখালী পারাপারের ব্রিজ ধসে নদীতে পড়ায় আশপাশের আরও দশ গ্রামের মানুষ এখন চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধ মানুষ। স্কুলগামী শত শত শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ পথে। নিত্যকার এ দূর্ভোগ নিয়ে ১০টি গ্রামের মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কারণ এলজিডির নির্মাণাধীন নতুন গার্ডার ব্রিজের কাজ দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে।
মধুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাত্রী মোসা. রাবেয়া সপ্তম শ্রেনি জানান, যোগাযোগের একমাত্র পুরনো ব্রিজটি ধসে পড়েছে আর গার্ডার ব্রিজের নির্মানাধীন কাজ দুই মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এখন একটি স্টিল বডির ট্রলার নদীর মাঝখানে আড়াআড়ি করে বেঁধে রাখা হয়েছে তা দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হয়।
স্থানীয়রা জানালেন, দুই পাড়ের এ্যাবারমেন্ট ওয়াল করে এখন দুই মাস ধরে কাজ বন্ধ রয়েছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় একটি বালুবাহী ট্রলিসহ পুরনো জীর্ণদশার সেতুটি ধসে নদীতে পড়ে যায়।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান জানান ওই স্থানে মানুষের বিকল্প যোগাযোগের একটি সাঁকো তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দসহ ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply