মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। কলাপাড়ায় ঘুর্ণিঝড় ফণী‘র প্রভাবে আরামগঞ্জ আলীগঞ্জ দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রসার মিলনায়তন, অফিস কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। হাজিরা খাতাসহ অফিস ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উড়িয়ে যত্রতত্র ও পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে।
পাকা ভবনের অভাবে দীর্ঘ যুগ ধরে শ্রেণি কক্ষগুলো পাঠ দানে অনুপযোগী। তার ওপরে ফণীর তান্ডবে গুরুত্বপুর্ণ ভবনটি বিধ্বস্ত হওয়ায় এখন শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে চরম দুরাবস্থায় পড়েছেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বিপাকে পড়েছে ২৬৭ শিক্ষার্থী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে আরামগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষ অফিস ও মিলনায়তন বিশিষ্ট ভবনটি ঘুর্ণিঝড় ফণী‘র আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে আছে।
ভবনের টিনের চাল উড়িয়ে অন্যত্র ফেলে দিয়েছে। ১৯৯০ সালে স্থাপিত মাদ্রাসাটি ওই এলাকার এমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাদরাসাটিতে মোট চারটি টিনশেড ভবন। একটি ভবন ঘুর্ণিঝড়ে দুমড়ে মুচড়ে গেছে আর বাকিগুলোর অবস্থা বেহাল।
সামান্য বৃষ্টিতে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে শিক্ষার্থীর বই-খাতা নষ্ট হয়ে পাঠ দানে ব্যাঘাত ঘটে। শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় থাকে না। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাকা কোন ভবন নেই।
প্রতিটি ভবন মাটির মেঝে আর টিনের বেড়া ও চাল। বৃষ্টি ও সামান্য বাতাসে শ্রেণি কক্ষে অবস্থান করার কোন পরিবেশ থাকে না। তাছাড়া ওই এলাকায় কোন সাইক্লোন শেল্টার নাই। তাই এলাকাবাসী ও মাদরাসার শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের আরামগঞ্জ দাখিল মাদরাসাটি পাকা ভবন নির্মান করাই তাদের একমাত্র দাবি।
সুনাম রয়েছে মাদরাসা প্রতিষ্ঠাকালিন থেকে প্রায় প্রতিবছর শতভাগ দাখিল পরিক্ষায় উত্তীর্ন হয়। ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. সিয়াম জানায়, অল্প বৃষ্টিতেই টিন দিয়া পনি পড়ে। আবার একটু বাতাসে বাইরের বৃষ্টি ক্লাসের মধ্যে এসে পড়ে।
তখন আমরা আর থাকতে পারি না। চতুর্র্থ শেণির শিক্ষার্থী মারুফা জানায়, বর্ষাকালে বাড়ি দিয়া আসতে হয় কাদা পেরিয়ে। মাদরাসার ভবনও মাটির হওয়ায় প্রায়ই আচার খেতে হয় আমাদের।
মাদরাসার সুপার মুহা. মুরশিদুল আলম বলেন, ঘুর্ণিঝড় ফণী‘র বাতাসে ভবনের চাল উপড়ে ফেলায় উপবৃত্তির কাগজ, হাজিরা খাতাসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। অনেক কাগজ পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে।
অফিস ভবনরে টিনের ছাউনি সম্পূর্ন উপড়ে ফেলায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আসবাবপত্র ভেঙ্গে চুর্ন বিচুর্ন হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
আমরা মাদরাসার পক্ষ থেকে শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে ভবন পাকা নির্মানের জন্য আবেদন করেছি। ইঞ্জিনিয়ার এসে পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত পাকা ভবন জোটেনি।
Leave a Reply