কলাপাড়ায় খেয়াঘাট নিয়ে দু’ ইউনিয়নে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৪ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




কলাপাড়ায় খেয়াঘাট নিয়ে দু’ ইউনিয়নে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

কলাপাড়ায় খেয়াঘাট নিয়ে দু’ ইউনিয়নে চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী




কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।  পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা লালুয়া ইউনিয়নে চর নিশান বাড়িয়া ও লালুয়ার খেয়াঘাটে প্রবেশের দুই পাড়ের সড়ক বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত খেয়া পাড় হচ্ছে ধানখালী ও লালুয়া ইউনিয়নের শিক্ষার্থীসহ ছয় গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ। প্রতিবছর ঘাটটি ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন ও চর নিশান বাড়িয়া ও লালুয়ার মধ্যবর্তী এ খেয়া ঘাটটি এবছর ১ লক্ষ ৮১ হাজার টাকায় ইজারা দেয়া হয়। তারপরও প্রায় বিশ বছরেও ঘাটের দুই পাড়ের সড়ক নির্মান কিংবা মেরামতে উদ্যোগ নেয়নি উপজেলা প্রশাসন ।

 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, খেয়াঘাটে প্রবেশের দু’পাড়ের সড়কে ছোট বড় গর্ত আর উচু নিচুতে ভরপুর। অনেক স্থানের দুই পাশের মাটি সড়ে গেছে। মাঝখান দিয়ে কেবল একজন মানুষ চলাচল করতে পারে। অনেক স্থানের ইট সরে গেছে। ভাটার সময় তীরে ভীড়তে পারেনা নৌকা। জোয়ারের সময় মটোর সাইকেল উঠাতে হয় কাঁদা মাটি পেড়িয়ে। বৃষ্টি হলে হাটু সমান কাঁদায় একাকার হয়ে যায় সড়ক। নৌকায় ওঠা নামার জন্য জেটির অবস্থাও বেহাল। ঘাটের এমন বেহাল দশার ফলে খেয়া পার হতে গিতে প্রতনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারন মানুষ। তারপরও কোন উপায় না পেয়ে ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা ও ছোনখোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ ঘাট পাড় হয়ে বিদ্যালয়ে চলাফেরা করে।

 

এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া, চিংগড়িয়া, মাঝেল হাওলা, ছোনখোলা ও ধানখালী ইউনিয়নের মাছুয়াখালী ও চর নিশানবাড়িয়া গ্রামের প্রায় আট হাজার মানুষ এ খেয়া পারাপার হয়ে উপজেলা যোগাযোগ করে ।বর্ষা মৌসুমে মুমুর্ষ রোগী কিংবা গর্ভবতী মায়েদের উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসতে হয় ট্রলার কিংবা নৌকায়। ফলে খেয়াঘাট নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই এলাকার মানুষ।

স্থানীয় লোকজন জানান, খেয়া ঘাটের সড়কের দুই পাড়ের মাটি সরে গিয়ে নিচের মাটির সাথে মিশে গেছে। বর্তমানে এ সড়ক চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

লালুয়া ইউসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর শিক্ষার্থী মো.ফিরোজ বলেন, বর্ষার সময় জুতা হাতে নিয়ে খেয়ায় উঠতে হয়। সড়কে কাঁদা পানি মিশে পিচলা হওয়ায় খেয়ায় উঠতে গিয়ে অনেকেই পড়ে যায়।
ঘাটের টোল আদায়কারী আল-আমিন জানান, ঘাটের সড়কের বেহাল দশায় যাত্রীদের নৌকায় ওঠায় নামায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস, এম, রাকিবুল আহসান জানান, ঘাটের বেহাল দশার ব্যাপারে আমাকে কেউ অবগত করেনি। এছাড়া মাসিক মিটিংয়ে ইউপি চেয়ারম্যানও বিষয়টি আলোচনা করেননি। ওই এলাকার কেউ আবদেন করলে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD