বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
এম. কে. রানা: যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলায় সাধারনত যুব সমাজ অগ্রনী ভুমিকা পালন করে থাকে। আর প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে কাজ করেন। যার ব্যত্যয় ঘটেনি বর্তমান বিশ্ব জুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা মোকাবেলার ক্ষেত্রেও। তবে প্রেক্ষাপট ভিন্ন হওয়ায় এবার যুব সমাজ খুব একটা এগিয়ে আসেনি। কিন্তু সবার আগে এগিয়ে এসেছে পুলিশের গর্বিত সদস্যরা। পরবর্তীতে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন আমাদের দেশমাতৃকায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর গর্বিত সদস্যরা।
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর স্বজনরা যখন লাশ ফেলে পালিয়ে যাচ্ছে তখন দায় বলুন, দায়িত্ব বলুন আর নির্দেশ যা- ই বলুন সেই লাশ সমাহিত করছেন পুলিশ। তারা দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে কাজ করে যাচ্ছেন কোন বিশেষ পোশাক (পিপিই) ছাড়াই।
এদিকে সংবাদকর্মীরা তাদের লেখনী, ভিডিও এবং আলোকচিত্র দ্বারা মানুষকে সচেতন করছেন। পাশাপাশি গুজব প্রতিরোধেও ব্যাপক ভুমিকা রাখছেন সাংবাদিকরা। যা অকপটে স্বীকার করেছেন মহা পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) জাভেদ পাটোয়ারি। অপরদিকে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্স যারা করোনা আক্রান্ত রোগীকে সুস্থ করে তুলতে কাজ করছেন।
একবারও কি ভেবেছি কেউ তাদেরও আছে মা, বাবা, স্ত্রী সন্তান। ইতোমধ্যে চিকিৎসক, পুলিশ ও সাংবাদিক করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খোঁঁজ নিয়ে জানা গেছে এই তিন শ্রেণী পেশার মানুষগুলো যখন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তখন দেশের আনাচে কানাচে অসংখ্য যুবক আড্ডা দিয়ে সময় কাটাচ্ছে। তাদেরকে ঘরে ফেরাতে মাঠপর্যায় কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা। আর তাদের তথ্যগত সহযোগিতা করছেন সাংবাদিকরা।
জানা গেছে এদের সুরক্ষা ব্যবস্থা বলতে রয়েছে কেবল একটি মাস্ক আর হ্যান্ড গ্লোভস। অথচ ফ্রন্ট লাইনের এ সকল যোদ্ধাদের নিরাপত্তা জরুরী।
এ ব্যাপারে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম- বার) বলেন, পুলিশের প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে অর্থাৎ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্তব্য পালনের জন্য বলা হয়েছে। আর করোনা সংক্রমিত রোগীর কাছাকাছি যদি যাওয়ার প্রয়োজন হয় তবে প্রয়োজনীয় (পিপিই) আমাদের হাতে রয়েছে।
Leave a Reply