বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, একদিন আমরা এই বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারবো। রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ (শীতকালীন) অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে বিমান বাহিনী একাডেমি যশোর প্রান্ত যুক্ত ছিলো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সম্প্রতি লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এন্ড এয়ার স্পেস বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিমান চলাচল, নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশ ও বিজ্ঞান চর্চা হবে। যার মাধ্যমে একদিন আমরা যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারবো।
‘শুধু যুদ্ধবিমান নয়, একদিন আমরা মহাকাশেও পৌঁছে যেতে পারি। সেই প্রচেষ্টাও আমাদের থাকবে’ বলেন সরকারপ্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২১ বছর পর সরকার গঠন করি। জাতির পিতার হাতে গড়া সশস্ত্র বাহিনীর কল্যাণে কাজ করি। কারণ তার পদাঙ্ক অনুসরণ করি। যুদ্ধবিধস্ত দেশ তিনি গড়ে তোলেন। তখনই এই বিমান বাহিনীর জন্য সেই সময়কার সবচেয়ে আধুনিক বিমান যেটা, ওই যুগের জন্য সবচেয়ে আধুনিক ছিল সুপারসনিক মিগ-২১ যুদ্ধ বিমান তিনি ক্রয় করে দিয়েছিলেন।’
বিমানবাহিনীকে আরো যুগোপযোগী করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুবর্ণ জয়ন্তীতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রযুক্তিভিত্তিক বাহিনী গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর নবীন ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা যুদ্ধে বিজয় অর্জনকারী একটি দেশ, একটি জাতি। এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা, দেশের মানুষের কল্যাণ করা, সার্বিক উন্নতি করা, এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
‘সব সময় সে কথা মাথায় রেখে, মনে সাহস রেখে মাথা উঁচু করে বিশ্ব দরবারে চলতে হবে এবং নিজেদেরকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিমান বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক পাঁচটি সি-১৩০জে বিমানের জন্য চুক্তি সম্পাদন করা হয়েছে। তিনটি বিমান ইতোমধ্যে এসে গেছে। বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ আরও উন্নত করার লক্ষ্যে আরও সাতটি অত্যাধুনিক ট্রেইনার বিমান যুক্ত করা হয়েছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইন্ট্রোরেগেশন, সর্বাধুনিক এয়ার ডিফেন্স রাডার।
কোনোকিছুতেই যেন বাংলাদেশ পিছিয়ে না থাকে, তার জন্য যা যা দরকার সেটা করে যাচ্ছি বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘খুব দুঃখিত করোনা মহামারির কারণে আমার যাতায়াত খুব সীমিত। যে কারণে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারলাম না। এটা আমার জন্য খুব দুঃখের, কষ্টের। আশাকরি এই ধরনের করোনা দুর্ভোগ থেকে বাংলাদেশ অচিরেই মুক্তি পাবে। ভবিষ্যতে আবার সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারব।
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিমানবাহিনীর উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থাসমূহ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলেও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply