শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর বাউফলে নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ ৫নং ওয়ার্ড (ভাংড়া গ্রাম) মেম্বার মো: দেরাজ আলী খাঁনের পূত্র মো: সফিকুল ইসলাম(২৩) দ্বারা একই গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনা স্থানীয়দের মাঝে জড়িয়ে পড়ার এলাকায় চঞ্চাল্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
অপর দিকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধর্ষিতা গৃহবধূর পরিবারকে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য নিষেধ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়,বৃহস্পতিবার (২রা আগষ্ট) গভীর রাতে নওমালা ইউনিয়নের ভাংড়া গ্রামের কাজী বাড়িতে শাহ জামাল কাজীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ সফিক। এসময় ধর্ষিতার চিৎকার শুনে ধর্ষক সফিককে হাতেনাতে আটক করে স্থানীয়রা।
পরে ঐ ওয়ার্ডের দ্বায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ রেজাউল ও ধর্ষকে ভাই আনোয়ার সফিকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা শালিশ বৈঠকের মাধ্যমে ধর্ষিতার ইজ্জতের মূল্য নির্ধারন করেন ১৪ হাজার টাকা। তার সাথে এই ঘটনা জানাজানি না করার জন্য ধর্ষিতার পরিবারকে হুমকি দিয়ে যা তারা। কিন্তু সত্যতো চাপা তাকে না। ঘটনা জড়িয়ে পরে পুরো উপজেরায়। এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুকে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ মন্তব্য করে বলেন, মেম্বার এর ছেলে বলে কথা, কে করবে বিচার।
জানা যায়, ধর্ষিতার স্বামী ঢাকায় দিনমজুরের কাজ করেন। এই ঘটনার পর স্ত্রীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। ধর্ষিতা গৃহবধূ সাংবাদিকদের জানায়, ঘটনার সময় আমি গুমিয়ে ছিলাম। মেম্বারের ছেলে আমার মুখ চেপে ধরে জোর করে ধর্ষণ করে। আমার অনুপস্থিতিতে শালিস বৈঠক হয়েছে।
আমি এ বিচার মানি না। ধর্ষিতার দেবর হুমায়ন কবির জানায়, ভাবীর ডাক চিৎকার শুনে হাতে নাতে সফিকে আটক করি। পরে চৌকিদার রেজাউলকে খবর দেই। এব্যাপারে শালিস আরিফ হাং বলেন, সেদিন রাতে ধর্ষণের কোন গটনা ঘটেনি। রাতে সফিক ঐ ঘরে ডুকেছে তার জন্য ১৪হাজার টাকা জরিমানা করছি। এব্যাপারে বাউফল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply