রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এখন পরিস্কার-পরিছন্ন উপজেলা। মহাসড়ক থেকে শুরু করে উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট পরিস্কার এবং সড়ক কিংবা বাজারে অবৈধ্য দখলে থাকা দখলদারের উচ্ছেদ করেছন সদ্য যোগদান কৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন। তিনি বরিবার থেকে মির্জাগঞ্জে ইউএনও হিসেবে কাজ শুরু করার পরে মাত্র তিন দিনেই যেন উপজেলা শহরের চিত্র পাল্টে গেছে। তিনি উপজেলা শহরে মাইকিং করার পরে উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে মহাসড়কের উপরে টেম্পু ও অটো বাইকের ষ্ট্যান অন্যত্র সড়িয়ে নেয়া হয়েছে,কলেজ রোড এলাকার ষ্ট্যান,সুবিদখালী লঞ্চঘাট এলাকা, পায়রাগঞ্জ, মির্জাগঞ্জ সড়কের পাশে ও সুবিদখালী বাজারে রাস্তা দখল নেয়া দোকানগুলো তাদের নিজ উদ্যোগে সড়িয়ে নিয়েছেন।
সোমবার রাতে দেখা যায়,দোকান মালিক পক্ষ নিজ উদ্যোগে তাদের নিজেদের মালামাল সড়িয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ গতকাল মঙ্গলবার দখল করে থাকা দোকানগুলো সড়িয়ে নিতে দেখা গেছে। এতে উপজেলা শহরে যানচলাচল সহ সাধারন মানুষের চলাচলে সুবিধা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, উপজেলার সুবিদখালী বাজারের দিন ঠিকমত চলা যেত না। দোকানদাররা তাদের দোকানের মালামাল রাখত রাস্তার উপরে। এতে কোন মতে একটি রিক্সা চললে পথচারিদের একপাশে দাড়িয়ে থাকতে হত। এমনকি শ্রীমন্ত নদীর সুবিদখালী মরহুম ইয়ার উদ্দিন খলিফা(রঃ) ব্রীজের পশ্চিম পাশের মটরসাইকেলগুলো সড়কের উপরে থাকায় চলাচলে অসুবিধা হতো। মাত্র কয়েকদিনে এখন আর অনুবিধা আর নেই। বিশেষ করে উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে থাকা মাহিন্দ্রার ষ্টানের কারেন মুসুল্লীদের নামাজ পড়তে বিঘ্ন ঘটলেও এখন আর বিঘ্ন ঘটছে না। নতুন ইউএনও স্যার যোগদানের পরে মির্জাগঞ্জে প্রথম বারের মতো উপজেলাকে পরিস্কার পরিচ্ছনসহ সকল কাজে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগকে সাধারন মানুষ সাধুবাদ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেন বলেন,মির্জাগঞ্জে চলার মতো কোন ফুটপাত বা রাস্তা নেই। আমারা প্রায়ই শুনি রাস্তায় সড়ক দুঘর্টনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন কিংবা অনেকেই মারা যান। তাই নিরাপদ সড়ক চাই এর অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আর যারা সরকারি সম্পত্তি দখল করে আছেন তাদের বিরুদ্ধে এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। কারন সরকারি সম্পত্তি রক্ষার বিষয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
Leave a Reply