বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১২:১২ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নতুন করে আশার সঞ্চার করছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। চলতি অর্থবছরে ঘোষিত ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্যাকেজের আওতায় তৃতীয় কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশ জুন মাসেই পাচ্ছে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থনীতিবিদদের মতে, এই অর্থ ছাড় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং সামগ্রিক আর্থিক ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা আনবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের নেতৃত্বে আইএমএফ-এর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর এই কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নতুন বিনিময় হার নীতিমালার অংশ হিসেবে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়েছে, যা শুরুতে আপত্তির সম্মুখীন হলেও পরে আইএমএফ গ্রহণ করেছে।
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসছে বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে। সম্মেলনে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বলে জানা গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই অর্থ ছাড় শুধু রিজার্ভকে শক্তিশালী করবেই না, বরং সরকারের আর্থিক নীতিতে আন্তর্জাতিক আস্থা ফিরিয়ে আনবে। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আইএমএফ বাংলাদেশের জন্য তিন বছরের একটি ঋণ কর্মসূচি অনুমোদন করেছিল। এই কর্মসূচির আওতায় প্রথম দুটি কিস্তি ইতিমধ্যে ছাড় হয়েছে, এবং তৃতীয় কিস্তি ছাড়ের পর মোট প্রাপ্তির পরিমাণ দাঁড়াবে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার।
সরকারি কর্মকর্তারা মনে করেন, এই অর্থ দেশের আর্থিক কাঠামোগত সংস্কারে গতি আনবে। বিশেষ করে ব্যাংক খাতের স্বচ্ছতা, বিনিময় হার ব্যবস্থার উন্নয়ন, এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এই সহায়তার কার্যকর ও স্বচ্ছ ব্যবহার নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই ঋণ কর্মসূচি দেশের দীর্ঘমেয়াদি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
Leave a Reply