বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বঙ্গোপসাগরের কূল ঘেঁষে গড়ে ওঠা খরস্রোতা পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পাল্টে যাচ্ছে মির্জাগঞ্জের মানচিত্র। নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে জমি। একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ভাঙনের মুখে সুবিদখালি বন্দর এলাকাসহ মসজিদ মাদরাসা, মন্দির ও ছোট বড় অর্ধশত স্থাপনা।
এছাড়াও পায়রা নদীর ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে ভিকাখালী, চরখালি, পিঁপড়াখালী রামপুর, ও কাকড়াবুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীতে বিলীন হচ্ছে গাছ ঘর বাড়িসহ একাধিক স্থাপনা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার রামপুর গ্রামের লঞ্চঘাটের পন্টুনের সংযোগ সড়কসহ গ্যাংওয়ে নদীতে ভেসে গেছে। বেড়িবাঁধের অনেক জায়গায় বড় বড় ফাঁটল দেখা দিয়েছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া লঞ্চঘাট এলাকাসহ বাজারটি। গত কয়েক বছর আগে লঞ্চঘাটের যাত্রী ছাউনিসহ কয়েকটি বসতঘর ও দোকানঘর ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পায়রা নদীর ভাঙনের কারণে উপজেলার মেন্দিয়াবাদ ও পিঁপড়াখালী গ্রাম দুটির অস্তিত্ব প্রায় বিলীনের পথে। দুটি গ্রামের কয়েক একর জমি, বসত ঘর পায়রা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পিঁপড়াখালী বাজার ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ বাজারে প্রায় ৩ শতাধিক দোকান ছিল। এখন মাত্র ৪ থেকে ৫টি দোকান রয়েছে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। তবে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকায় নতুন বেড়িবাঁধও নদীতে চলে যাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পায়রা নদীর ভাঙন রোধে খুব শীঘ্রই মজবুত তীর রক্ষা বাঁধ তৈরির একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এলাকাবাসী উপকৃত হবে।
Leave a Reply