রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥ ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত এবং আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণসহ ১১ দফা দাবিতে বরগুনা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটি। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আনিসুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বরগুনার সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকেও স্মারকলিপির কপি প্রাদন করা হয়।
১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত, আহত ও নিখোঁজ পরিবারকে সরকারি সহায়তা করতে হবে। লঞ্চ মালিকের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে নিহত, আহত ও নিখোঁজ পরিবারকে দেওয়া, অভিযান-১০ লঞ্চের মালিকসহ অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন না করা, প্রত্যেক যাত্রীর নিরাপত্তায় লাইফ জ্যাকেট ও বয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ ছাড়াও আধুনিক অগ্নিনির্বাপক প্রযুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক লঞ্চে দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সনদধারী কর্মী নিশ্চিত করতে হবে। ফিটনেসবিহীন লঞ্চ চালানো যাবে না। ভূয়া ফিটনেস প্রদানকারী কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দায়িত্ব অবহেলায় দুর্ঘটনা ঘটলে লঞ্চ মালিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পাশাপাশি বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ করতে হবে।
বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান বলেন, যারা লঞ্চের ভুয়া ফিটনেস সার্টিফিকেট দেয়, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। সেই সঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মচারী দিয়ে লঞ্চ চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বরগুনা জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, দায়িত্বে অবহেলা করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের হত্যা করেছে। অনেক পরিবার কর্মক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা হারিয়ে ফেলেছে। এসব পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে তাদেরকে সহায়তা করতে হবে।
Leave a Reply