ডেস্ক রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর এবার ভার্চুয়াল জগতে দলটির উপস্থিতি ঠেকাতে তৎপর হয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেসবুকসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১১ মে) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, “উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পরপরই বিটিআরসি ফেসবুকসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে দলটির সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেবে।”

তিনি আরও বলেন, “মেটা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হবে। আমরা আশা করছি, এই উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”

এর আগে শনিবার (১০ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি এখন থেকে নিষিদ্ধ, এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া চলবে।”

এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামক দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি প্রতিবাদ পোস্ট প্রকাশ করা হয়। পোস্টে সিদ্ধান্তকে “অগণতান্ত্রিক ও অন্যায্য” বলা হয়। পরে দলটির পক্ষ থেকে একটি বিস্তারিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দেওয়া হয়।

বিটিআরসির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ফেসবুক পেজ, ইউটিউব চ্যানেল ও অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম নজরদারিতে আনা হয়েছে এবং প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এটি একটি নতুন ধারা সূচিত করেছে। বাস্তবে এর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব কেমন হবে, তা সময়ের সাথে সাথে স্পষ্ট হবে বলে মত তাঁদের।