শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে যান বরিশাল সদর উপজেলার সন্তান বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সদস্য যুববন্ধু আরিফিন মোল্লা । সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিতে কথা বলেন তার স্ত্রী ইসরাতুন্নেসা কাদেরের ও ডা. আবু নাসার সাথে। এসময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দেখতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ জুয়েল,
নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু ,বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার। সিঙ্গাপুরে সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী জানিয়েছেন, শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকালে সেতুমন্ত্রীকে ছাড়পত্র দেয়া হলে সিঙ্গাপুরের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।
তবে হাসপাতাল ছাড়লেও এখনই দেশে ফিরছেন না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ফলোআপ চিকিৎসার জন্য আরও কিছুদিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবু নাছের। এক বিবৃতিতে আরিফিন মোল্লা বলেন, মহান আল্লাহ্র রহমতে এবং আমাদের সকলের দোয়া ও ভালবাসায় ওবায়দুল কাঁদের (স্যার ) আমাদের মাঝে সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন, আরিফিন মোল্লা সেতুমন্ত্রীর পুরপুরি সুস্থতা কামনা করে দেশবাসীর সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
সঙ্গত, সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কেবিনে বেশ কিছুদির চিকিৎসা নেয়া ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তার চিকিৎসক ও তার আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে শুরু করেন। এরপর থেকেই তাকে রিলিজ দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছিলো। এর আগে গত ৩ মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক, পান চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিনই তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। গত ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়।
Leave a Reply