শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট ॥ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সকল গণমাধ্যমকে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য বা অডিও সম্প্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের কার্যকলাপ সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর আওতায় গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এবং এর জন্য কঠোর শাস্তি হতে পারে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সরকারের এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার ঘৃণামূলক বক্তব্য সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যম আইন ও আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে শেখ হাসিনার মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করেছে, যা দেশের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ। সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষকে কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যদি শেখ হাসিনার বক্তব্য বা অডিও সম্প্রচার করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারের মতে, এ ধরনের প্রচার দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে এবং সহিংসতাকে উসকে দিতে সক্ষম।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী হত্যার নির্দেশ দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। এরপর তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় বিচারাধীন রয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমও নিষিদ্ধ। একই সঙ্গে দলটির নেতাদের বক্তব্য বা কার্যক্রম প্রচার করলে গণমাধ্যমকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন অনুযায়ী জবাবদিহি করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বলেছে, ন্যায়বিচার ও গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে দেশকে এগিয়ে নেওয়াই তাদের অঙ্গীকার। বর্তমানে জনগণ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এ সময়ে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি।
সরকার দৃঢ়ভাবে জানিয়েছে, শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করবে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করবে। তাই এ ধরনের কাজে যুক্ত যেকোনো গণমাধ্যম কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হবে।
Leave a Reply