শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী Latest Update News of Bangladesh

বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী

শিশুদের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই: প্রধানমন্ত্রী




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটি শিশুর জন্য আমরা সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই। ২১০০ সাল পর্যন্ত সেভাবেই দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা আর ধরে রেখে আগামী দিনে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলবো- এটাই হচ্ছে আমাদের আজকের অঙ্গীকার।

 

 

বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) বিকালে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করছি। উদযাপন করছি এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে। কারণ তার জন্মস্থানে আমরা এই অনুষ্ঠানটি করতে চাই।

 

 

তিনি বলেন, আজকের শিশু দিবস সফল হোক। শিশুদের জন্য আমরা সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ রেখে যেতে চাই। তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা দিয়ে গেলাম।ম।

 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের শিশুরা হবে আগামী দিনের কর্ণধার। শিশুদের ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয়, সুন্দর হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমাদের সকল কর্ম পরিকল্পনা।

 

 

কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’ থেকে আবৃত্তি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ/প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল /এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার’।

 

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানাদিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে তিনি কেবল এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাত। আমি আর আমার ছোট বোনে রেহানা বেঁচে গিয়েছিলাম। স্বজন হারানোর বেদনা বুকে নিয়ে রিফিউজির মত দেশ-বিদেশে কাটাতে হয়েছে।

 

 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমি ফিরে এসেছিলাম। এমন একটি অবস্থায় যেখানে ঘাতক, যুদ্ধাপরাধী, আল-বদর, রাজাকারদের রাজত্ব ছিল। তবুও আমি ফিরে এসেছিলাম, আমার বাবার স্বপ্ন পূরণ করার জন্য। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এদেশের শিশু যেন আগামী দিনে আমাদের মত স্বজন হারার বেদনা নিয়ে বাঁচতে না হয়। তারা যেন সুন্দর জীবন পায়, উন্নত জীবন পায়, যে শিশুদের জাতির পিতা অত্যন্ত ভালোবাসতেন।

 

 

শেখ হাসিনা তার সরকারের বিভিন্ন সময় শিশুদের অধিকার রক্ষায় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের সময় স্কুল বন্ধ ছিল। এখন সব স্কুল খুলে গেছে। কাজেই এখন স্কুলে পড়াশোনার সুযোগ আবার এসেছে। তারা পড়াশোনা করবে, সেটাই আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। শিখনমূলক নানা ধরনের গ্রাফিক্স ও কার্টুন আমরা করেছি। যখন করোনা ছিল আমরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি। শিশুরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করে দিচ্ছি। যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করতে পারবে।

 

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শিশুরা সুরক্ষিত থাকবে, সুন্দর জীবন পাবে। জাতির পিতা এদেশের শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। আমার ছেলে জয়ের সৌভাগ্য হয়েছে আমার বাবার কোলে চড়ে খেলা করতে। তিনি যখন বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতেন মনে হতো তিনি নিজেই যেন শিশু। এটাই ছিল তার চরিত্রে সব থেকে বড় দিক। দুর্ভাগ্য এই বাংলার মাটিতে যাদের জন্য আমার বাবা জীবন উৎসর্গ করেছেন, বছরের পর বছর কারাগারে ছিলেন, যাদের একটি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়ে গেছেন, সেই বাঙালিদের হাতে তাকে জীবন দিতে হয়েছে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে কষ্ট সবচেয়ে দুঃখ।

 

 

এসময় আগামী ২১ থেকে ২৬ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠিতব্য লোকজ মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই টুঙ্গিপাড়ার মাটিতে মুজিববর্ষ লোকজ মেলার আয়োজনের আইডিয়াটি এসেছে শেখ রেহানার চিন্তা থেকে। জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি এ মেলার আয়োজন করছে। আগামী ২১ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ার সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

 

 

তিনি বলেন, আমাদের গ্রাম বাংলা নানা বৈচিত্র্যে ভরা। এই বৈচিত্র্যময় বাংলার চিরায়ত সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে এই মেলায় ঐতিহ্যবাহী লোকজ পণ্যের প্রদর্শনী সহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে নানা ধরনের আয়োজন থাকবে। ওই সময় থাকতে পারবো না বলে আমি আজ এই মেলার উদ্বোধন ঘোষণা করছি।

 

 

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মুহাম্মদ ফারুক খান, মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, উত্তর গোপালগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শেখ মুনিয়া ইসলাম। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রিসভার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD