মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে গত তিন দিনে মা-মেয়েসহ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নতুন ৩০৬ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা।
গত তিন দিনে ডায়রিয়ায় যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা হলেন মাধবখালী ইউনিয়নের সমাদ্দার কাঠী গ্রামের রাকিব খন্দকারের মেয়ে সাহারা সানফুল (১৫), উত্তর মাধবখালী গ্রামের মৃত মহব্বত আলী হাওলাদারের ছেলে মন্নাফ হাওলাদার (৫০), মাধবখালী গ্রামের মৃত্যু বন্দে আলী সিকদারের ছেলে মো: নুর মোহম্মদ সিকদার (৮০) ও উত্তর মাধবখালী গ্রামের দেনছে আলী সিকদারের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৫৫)।
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মৃত্যু ফরমান সিকদারের ছেলে আলীম উদ্দিন সিকদার(৭৫), একই গ্রামের মৃত্যু গনি হাওলাদারের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৭০), মৃত্যু করিম নেগাবানের মেয়ে ফরিদা বেগম (৫০), ভাজনা কদমতলা গ্রামের মো: শাজাহান হাওলাদের ছেলে মো: সোবাহান হাওলাদার (৫৬), মো: ইউনুচ হাওলাদারের স্ত্রী কদবানু (৭০), ঘটকের আন্দুয়া গ্রামের রাখাল চন্দ্র মালীর ছেলে বীরেন মালী (৫৫) ও মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামের মৃত ইকরাম সিকদারের ছেলে আলেক সিকদার (৫০) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৯৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো: লিটন সিকদার বলেন, পায়রা নদী তীরবর্তী এ ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে বাড়িতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী রয়েছে। অনেকে হাসপাতালে না গিয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: দিলরুবা ইয়াসমিন লিজা বলেন, হাসপাতালে ভর্তি কোনো ডায়রিয়া রোগী মারা যায়নি। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কর্মীদের মাধ্যমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এদের বেশিরভাগই মির্জাগঞ্জ ও মাধবখালী ইউনিয়নের।
তিনি আরো জানান, বিগত বছরগুলোয় কখনো এত ডায়রিয়া রোগী আসেনি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যালাইনের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় আনুপাতিক হারে রোগীদের স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে। স্যালাইনের জন্য সিভিল সার্জন বরাবর আবেদন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই স্যালাইনের ব্যবস্থা হবে। তবে অন্যান্য ওষুধ সঙ্কট নেই।
Leave a Reply