সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষত এখনো শুকায়নি। এখনো বিধ্বস্ত রয়েছে ঘরবাড়ি। এসব ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো। এসব সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধ্যমতো সহযোগিতা করছেন। সরকার দলীয় এমপিও ত্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু পাশে দেখা যায়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের।
জেলার গলাচিপার পানপট্টি ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের খরিদা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক খানজাহান আলী বলেন, কয়েকদিন আগে ধেয়ে গেল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বাড়িঘর সবই বিধ্বস্ত। আওয়ামী লীগ পাশে থাকলেও খুঁজে পাওয়া যায়নি বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের।
তিনি বলেন, শুধু কি ভোটের সময় রাজনীতিতে তাদের জোয়ার আসে? দুঃসময়ে অসহায় মানুষের পাশেও দাঁড়াতে হয়। এ আম্ফানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তৃণমূলের বিএনপি কর্মীরাও। কিন্তু তাদেরও কোনো খোঁজ নিচ্ছে না দলটি। পটুয়াখালীতে বলা যায় এক প্রকার ভাটা পড়েছে বিএনপির রাজনীতিতে। জনগণের পাশে না থাকলে একদিন বিএনপি নামক দলটি ভুলে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একাধিক কর্মী জানান, দল দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষমতায় নেই। কর্মীদের ব্যবসা-বাণিজ্যও নেই। দল চালাতে গেলে টাকারও প্রয়োজন। তাই মানুষের পাশাপাশি কর্মীদেরও খোঁজখবর রাখতে হয় সিনিয়র নেতাদের। তাহলে দল চাঙা থাকে। কর্মীদের কর্ম চঞ্চলতাও ফিরে পায় ও দলের প্রতি দায়িত্ব বাড়ে। কিন্তু জেলা বিএনপি এখন আর সেই অবস্থায় নেই। দুঃসময়ে কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হয়, এ মনোভাবও সিনিয়র নেতাদের নেই।
জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৩ মে আলতাফ হোসেন চোধুরীকে সভাপতি ও এমএ রব মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৭১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এ কমিটির পর বিএনপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।
জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াহিদ সরোয়ার কালাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাশে ছিলেন। যে যার মতো করে সহযোগিতা করেছেন।
এদিকে দলের বর্তমান অবস্থা জানতে পটুয়াখালী জেলা বিএনপি সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply