শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
কাওসার মাহমুদ মুন্না ॥
পিতার রেখে যাওয়া অর্থ আতœসাতের উদ্যেশ্যে বাকেরগঞ্জের বাদলপাড়া প্রতিবন্দি স্কুল ছাত্রিকে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ভগ্নিপতি বশির। গত ১০ অক্টোবর সকালে বশির ভুক্তভোগিকে চরামদ্দি বাজার সংলগ্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী ও শ্যালিকাকে চিরতরে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেবার উদ্্েযশ্যে চরামদ্দি জালাল ফকিরের বাড়িতে বসে নির্যাতন শুরু করে । নির্যাতনের এক পর্যায়ে তামমিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে গায়ে গরম পানি ঢেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।পরে স্থানীয়রা জানতে পেরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আহতকে পরের দিন বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে, আপন বোন এর স্বামী ঘটনার সাথে জড়িত বিধায় এবং অন্যকোন নিকট আতীœয় না থাকার কারনে তামমিমকে মাত্র দুই দিনের মধ্যে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়ে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় বোন তানিয়া বেগম। বর্তমানে স্থানীয়ভাবে খোজ নিয়ে জানা গেছে, অদ্যাবধি তামমিম এর শরীরে যথেষ্ট পরিমান ক্ষত রয়েছে। কেবল ঘটনা ধামাচাপা দিতেই আহতকে তরিঘরি করে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে যে দুর্বৃত্ব ভগ্নিপতি মহসিন হোসেন বশির এই ঘটনা ঘটিয়েছে সেই মহসিন এখন দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে বরিশাল অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। হাসপাতাল ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, তামমিম পৈত্রিকসুত্রে ১০ লাখ টাকা এবং একটি যাত্রিবাহি বাসের মালিক ছিল যা কাউয়ার চর রুটে চলাচল করে। বড় বোন তানিয়ার সাথে বশিরের বিয়ের পরে তানিয়াার পিতা-মাতা না থাকার কারনে একমাত্র প্রতিবন্দি বোন তামমিম বোন-ভগ্নিপতির সাথে বসবাস শুরু করে। এদিকে দুর্বৃত্ত বশির প্রতিবন্দি শ্যালিকার সম্পত্তি আতœসাত করার জন্য বিভিন্নভাবে তামিমকে প্রলোভন দেখিয়ে ব্যার্থ হয়। অবশেষে প্রানে মের ফেলার পরিকল্পনা করে। সেমতে ১০ অক্টোবর তামিমেম গায়ে গরম পানি ঢেলে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায় ।
বিষয়টি আপন বোন তানিয়া বুঝতে পারলেও স্বামী বশিরের কারনে কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেনা। এমনকি বোনকে হত্যা চেষ্টার পরেও কোন মামলা স্থানীয়ভাবে চেয়ারম্যান বা অন্যকোন পক্ষ তামিমের পক্ষে দাড়ায়নি। বিষয়টি তামিমেমর বোন তানিয়া অকপটে স্বীকার করে বলেন, পিতা-মাতা মারা যাবার পর থেকেই তার স্বামী বশিরের নজর পরে তামিমের সম্পত্তির ওপর বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি চরামদ্দি বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানার পরেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। উল্টো ওই বিদ্যালয়ের সহকারি-শিক্ষক জাহাঙ্গির জানার ঘটনা জানার পর আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ না দিয়ে উল্টো ভগ্নিপতি গায়ে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে এমন কথা চেপে যাবার পরামর্শ দেয়।বর্তমানে তামমিম মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply