শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা যুবলীগের সদস্য নিহত তাপস দাসের (২৯) খুণি বাঊফলের মেয়র জুয়েল সহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আওয়ামীলীগ। ২৬ মে বেলা ১২টায় বাউফল পৌর ভবনে নিজেকে নির্দোশ দাবী করে সংবাদ সম্মেলনকে জগন্য নাটকের উপখ্যান আখ্যা দিয়ে নেতৃবৃন্দ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বুধবার বিকাল ৫টায় উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি কালাইয়া বন্দরের বড়পুকুর পূর্ব পাড় থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
কালাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসারেফ হোসেন খানের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম ফয়সাল আহম্মেদ মনির হোসেন মোল্লা, জেলা পরিষদের সদস্য উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হারুন অর রসিদ খান, প্রমুখ।
মেয়র জুয়েল যুবলীগ নেতা তাপসকে খুন করার নির্দেশ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেকে নির্দোষ দাবী করা নির্লজ্জতা ও তাপসের রক্তের সাথে প্রতারনার শামীল। নেতৃবৃন্ধ উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত না হয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করে তাপস হত্যার বিচারকার্যে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। বক্তারা তাপস হত্যার মূল আসামি মেয়র জুয়েল সহ সকল আসামীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করার দাবী জানান। অন্যথায় উপজেলা জুড়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে হুমকি দেন।
উল্ল্যেখ গত রোববার ২৪ মে দুপুর দুইটার দিকে তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাস (২৯)কে ধারালো অস্ররে আঘাতে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় আহত হয় ১৫ নেতা কর্মী। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত সারে সাতটায় তাপসের মৃত্যু হয়।
Leave a Reply