বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর বাউফলে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে ভিজিএফের চাল আত্মসাৎ ও চাল দেওয়ার সময় অনিয়ম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল ৭টা থেকে বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস বাজারস্থাহ পুরনো পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে চাল বিতরণ করা হয়।
জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাউফল সদর ইউনিয়নের ৩ হাজার ৪শ ৪০ জন অসহায় দুস্থ গরিব ব্যক্তিকে জন প্রতি ১৫ কেজি করে মোট ৫১ দশমিক ৬ টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। জসিম চেয়ারম্যান নিজে ওই তালিকায় ৩শ ৫০ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করেন। জসিম চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ওই ৩শ ৫০ জনের নামের বিপরীতে কাউকে কোনো চালের স্লিপ দেয়া হয়নি। এছাড়া চাল নিতে আসা প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে ৩ থেকে ৪ কেজি করে কম চাল দেয়া হয়। এ হিসাবে মোট বরাদ্দ থেকে প্রায় ১৭ টন চাল কম দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাল নিতে আসা একাধিক ব্যক্তির চাল ওজন করে দেখা গেছে জন প্রতি ৩ থেকে ৪ কেজি কম চাল দেয়া হয়েছে। এ দিকে সুবিধাভোগীদের অভিযোগ জনপ্রতি প্লাস্টিকের বালতিতে করে এক বালতি চাল দিয়েছে। পরে ওজন করে দেখি কারও ১০ কেজি, কারও ১১ কেজি আবার কারও সাড়ে ১১ কেজি চাল হয়েছে। আমরা শুনেছি আমাদের এক এক নামে ১৫ কেজি করে চাল দিবে কিন্তু ৩ থেকে ৪ কেজি করে চাল কম পেয়েছি। চাল বিতরণ করার সময় ট্যাগ অফিসার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষা সুপারভাইজার কে এম সোহেল রানা।
এ বিষয়ে তিনি জানান, চাল ঠিকভাবেই দেয়া হয়েছে, চালের বস্তায় ঘাটতি থাকার কারণে কিছুটা কম হতে পারে। এ বিষয়ে বাউফল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন আত্মসাৎ ও অনিয়মের কথা অস্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাকে হেনস্থা করার জন্য কিছু লোক এ ধরনের অপপ্রচার করছে। আগামীতে আমি যে আর চেয়ারম্যান না হতে পারি সে জন্য কিছু লোক আমার পেছনে উঠে পড়ে লেগেছে। আর আমি যে কয়েকটি নাম নিয়েছি তাদের প্রত্যেককে চাল নেয়ার জন্য স্লিপ দেয়া হয়েছে। কিছু লোক চাল নিতে আসেনি। যারা চাল নিতে আসেনি তাদের চাল রেখে দেয়া হয়েছে। চাল বিতরণের সময় কোনো প্রকার অনিয়ম হয়নি।
Leave a Reply