রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি : দলীয় কোন্দল ও পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে হাত-পা বেঁধে নিজ দলের আরেক পক্ষ দুই পা ও বাঁ হাত ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ রোববার সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা নওমালা গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। আহত ওই ব্যক্তির নাম মো. কবির হোসেন কিবরিয়া (৪০)। তিনি উপজেলার নওমালা ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহজাদা হাওলাদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আহত ব্যক্তি ও তাঁর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ভোরে কিবরিয়া জরুরী প্রয়োজনে উপজেলা সদরে আসেন। কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন।
সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নওমালা গ্রামের লালু মোল্লা বাড়ির কাছে পৌঁছালে মৈশাদি গ্রামের আবদুল মজিদ মুন্সির ছেলে আওয়ামী লীগ কর্মী মো: ছবির মুন্সির (৩০) নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল তাঁর পথরোধ করে প্রথমে মুখে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। এরপর রশি দিয়ে তাঁর হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও বাঁ হাত ভেঙে ফেলে রেখে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আশঙ্কাজন অবস্থায় তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে। এক পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সরকার দলীয় চিফ হুইপ ও স্থানীয় সাংসদ আ.স.ম ফিরোজ। অপর পক্ষে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র মো: জিয়াউল হক। গত পাঁচ বছরে দুই পক্ষের মধ্যে অসংখ্য সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। আহত ইউপি সদস্য কিবরিয়া মেয়রের সমর্থক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন,‘তাঁর ডান পায়ের হাটুর নিচে প্রধান হাড় সহ একাধিক অংশ, বাঁ পায়ের গোড়ালি ও বাঁ হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশের হাড় ভেঙে গেছে। মুখের আঘাতটিও গুরুতর। এ কারণে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply