শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক// পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারের ফলে বরিশালে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রভাবিত হচ্ছে। এতে নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ওসব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করায় দুর্ভোগে পড়েছেন চর ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন খাল ও এর সঙ্গে সংযুক্ত ড্রেনের মাধ্যমে নগরীতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করছে। এতে নগরীর নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় নগরীর সাগরদীর দরগাহবাড়ি, আলেকান্দার ব্যাপ্টিস্টমিশন রোড, মল্লিক বাড়ি রোড, কেডিসি বস্তি, চাঁদমারি ও পলাশপুরের নিম্নাঞ্চল, ভাটারখাল, আগরপুর রোডসহ বেশ কয়েকটি এলাকা।
এছাড়া বর্ধিতাংশ হিসেবে পরিচিত নগরীর টিয়াখালী, লাকুটিয়া, পলাশপুর, রুপাতলীর বেশ কিছু অংশ পানিতে তলিয়ে যায়। তবে জোয়ার শেষে ভাটার সময় পানি নেমে যায় বলে জানান ওসব এলাকার বাসিন্দারা।
নগরীর টিয়াখালী এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান বলেন, জোয়ারের পানি প্রবেশ করে আমাদের এলাকার প্রধান সড়কগুলো ডুবে গেছে। ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা তলিয়ে যায়।
পলাশপুরের বাসিন্দা কাওসার হোসেন বলেন, পানিতে তলিয়ে গেছে আমার এলাকার অধিকাংশ রাস্তা। হঠাৎ এমন অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছি আমরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ, হিজলা, বাবুগঞ্জ ও মুলাদী সংলগ্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওসব এলাকার চরাঞ্চল ডুবে গেছে। উপজেলা শহরের নিচু আবাসিক এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে সেখানের বাসিন্দাদের।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, গত বুধবার নগরীর সংলগ্ন কীর্তনখোলাসহ জেলার আশপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সবগুলো নদ-নদীর পানি প্রবাহ বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কীর্তনখোলায় বিপদসীমার চেয়ে ১২ সেন্টিমিটার ওপরে পানি ছিল। বৃহস্পতিবারও একই অবস্থা রয়েছে।
পাউবোর বরিশালের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রমজান আলী প্রমাণিক বলেন, পূর্ণিমায় সৃষ্ট জোয়ারের ফলে গত ৩-৪ দিনে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে অস্বাভাবিক জোয়ার হচ্ছে। তবে ভাটায় পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
Leave a Reply