রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন
নলছিটি সংবাদদাতা: প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েছেন প্রেমিকা। তারপর ওই প্রেমিকা তথা স্কুলছাত্রীকে মারধর ও তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা পরিষদ চত্বরে মহিলা সংস্থা ভবনের সামনে মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর বুধবার (১ মে) দুপুরে ওই প্রেমিকার মা বাদি হয়ে স্থানীয় ৪ যুবককে আসামি একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি রাকিব হাওলাদারকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাকিব উপজেলার মল্লিকপুর এলাকার মো. রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন-উপজেলার খাসমহল এলাকার মো. জাফর হাওলাদারের ছেলে মো. পারভেজ, মল্লিকপুর গোরস্থান এলাকার মৃত রতন মেকারের ছেলে মো. আরিফ এবং একই এলাকার মৃত সেরাজ হাওলাদারের ছেলে মো. রাশেদ হাওলাদার। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর ওই প্রেমিকা তারপ্রেমিক নলছিটি উপজেলা পরিষদের নাইটগার্ড মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের ভাগিনা মেহেদি হাসানের সঙ্গে স্থানীয় হাবিব মল্লিকের বাড়ির মসজিদ থেকে উপজেলা পরিষদ চত্বরের যেতে ছিল। এসময় রাকিব ও তার সঙ্গীরা ওই প্রেমিকাকে ধরে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।
এরপর তাকে উপজেলা মহিলা সংস্থা ভবনের সামনে নিয়ে মারধর করে ফের তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় আসামিরা। মোবাইলফোনে ওই মেয়েটির ছবি তুলে রাখে তারা। এ ঘটনায় ওই মেয়েটির মা বাদি হয়ে বুধবার দুপরের থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
তবে স্থানীয়রা জানায়, ওইদিন রাতে উপজেলা পরিষদের মহিলা সংস্থা ভবনের সামনে প্রেমিক যুগলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে পাকড়াও করে এলাকাবাসী। প্রেমিক মেহেদি দৌড়ে পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে প্রেমিকা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে ওই প্রেমিকাকে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়।
তারা অভিযোগ করেন, প্রেমিক মেহেদি হাসান উপজেলা কোয়ার্টারে তার মামার সরকারি বাসায় থেকে একাধিকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গত বছর এমন একটি নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটিয়ে সে বেশ কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়েছিলেন।নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন বলেন, মামলার প্রধান আসামি রাকিব হাওলাদারকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply