মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গাদের অতিদ্রুত প্রত্যাবাসন না করতে পারলে দেশে নিরাপত্তা ও অস্থিতিশীলতার কারণ হতে পারে।বুধবার (২৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে কিশোরগঞ্জ-২ আসনের নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।এর আগে বিকাল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে সরকার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারে মৌলিক অধিকার বঞ্চিত এই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা অধিবাসীরা অসন্তুষ্টিতে ভুগছে। তাদের রয়েছে অনেক অভাব-অভিযোগ।রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের এসব নাগরিক এখানে স্বেচ্ছায় আসেননি। সেদেশের সেনাবাহিনী তাদের জোর করে বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করেছে। নির্মম নির্যাতনের শিকার এসব মানুষের খাদ্য, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবাসহ মৌলিক মানবিক সহায়তা অত্যন্ত জরুরি ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১ বছর চলে সামরিক ও স্বৈরাশাসকের লুটপাট। এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা আসার পর দেশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে সেই অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় আসে। আবার দুর্নীতির চক্রে নিপাতিত হয় দেশ। হাওয়া ভবনের নামে তারেক জিয়া চালাতে থাকে লুটপাট।
তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানে এক হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা গত বছর ছিল এক হাজার ৭৫১ ডলার। ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫৪৩ ডলার অর্থাৎ এ সময়ে মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে তিন গুণ।গণফোরামের দলীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বেশকিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসায় লেখাপড়া করছে। কওমি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় রেখেই পর্যায়ক্রমে কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে মূল স্রোতধারায় আনার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দাওরায়ে হাদিসের (তকমীল) সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি) সমমান প্রদান করে আইন করা হয়েছে।
Leave a Reply