সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া (কুয়াকাটা) প্রতিনিধি: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ২২ কিমি মেরিন ড্রাইভ রোডসহ বঙ্গোপসাগর ও নদীঘেঁষা ৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের পুনরাকৃতিকরণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৪৮ নম্বর পোল্ডারের মিরাবাড়ির দুটি, মাঝিবাড়ি ও খাজুরার এ ভাঙ্গনকবলিত প্লটগুলোতে ভাঙ্গনরোধে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি কৃষকের কৃষিকাজের সুবিধার্থে এ প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি স্লুইস মেরামত এবং আটটি স্লুইস নতুন করে নির্মিত হচ্ছে। ২০১৭ সালে শুরু প্রকল্পে আশাখালী পয়েন্টের একটি স্লুইস নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। শেষের পথে ফাঁসিপাড়া স্লুইসের নির্মাণ কাজ। আর বাকি তিনটির কাজ চলমান রয়েছে। আধুনিক পর্যটনকেন্দ্রে রূপান্তর ছাড়াও সাগর উপকূলের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষাসহ কৃষিকাজের নিরাপত্তায় এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাঁধ নির্মাণ কাজ করছে চায়নার চংচিং ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন। কাজটি সম্পন্ন হলে দীর্ঘপথ দেখতে হবে দৃষ্টিনন্দন। কুয়াকাটা পৌরশহরসহ গোটা পর্যটন এলাকা অস্বাভাবিক জোয়ারের প্লাবন থেকে রক্ষা পাবে।
প্রকল্পের পরামর্শক পাউবোর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী দিদারুল আলম জানিয়েছেন, সাগরঘেঁষা লতাচাপলী ও ধুলাসার দু’ ইউনিয়সহ কুয়াকাটা পৌর এলাকার রক্ষাকবচ ৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আধুনিকভাবে বন্যা কিংবা জলোচ্ছ্বাস প্রতিরোধের মতো করে পুনঃনির্মাণ করা হচ্ছে।
বাঁধটির সাগর ঘেঁষা ২২ কিলোমিটার এলাকার টপ চওড়া হবে ছয় মিটার।মোট ২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধটি মেরিন ড্রাইভ রোড করা হবে। যার উচ্চতা হবে সাড়ে ২৪ ফুট। এ অংশে সিসি ব্লক প্লেসিং করে দেয়া হবে। পর্যটকের বসার জন্য বেঞ্চ করা হবে। যেখানে বসে আগতরা জমিয়ে আড্ডার পাশাপাশি স্বল্পকালীন বিশ্রামও নিতে পারবেন।
বাঁধটির আধুনিকায়নের মধ্যে টপে পর্যটকের ভ্রমণের জন্য ওয়াকিং জোন থাকছে। এক কথায় দীর্ঘ বাঁধটি হবে দৃষ্টিনন্দন। এ বাঁধটির বাকি অংশ যেভাবে আছে সেভাবেই পুনরাকৃতিকরণ করা হবে।
২০২১ সালে একাজটি শেষ হওয়ার কথা।এর আগে বাঁধের দুই দিকের তোলা স্থাপনার মালিকসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠী যারা বসবাস করত তাঁদের ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদান করা হয়েছে।
প্রকল্প পরামর্শক আরও জানান, শুধু জলোচ্ছ্বাস ঠেকানো উদ্দেশ্য নয়। কুয়াকাটাকে পর্যটকের কাছে আকর্ষণীয় করতে এবং মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় এমন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। কাজগুলো সম্পন্ন হলে বদলে যাবে এলাকার দৃশ্যপট।
একদিকে সাগরের অব্যাহত ভাঙ্গনের কবল থেকে বেড়িবাঁধের অভ্যন্তরের মানুষ ও তাদের সম্পদ রক্ষা পাবে। অপরদিকে দীর্ঘ এলাকা পর্যটকের ভ্রমণের আকর্ষণে পরিণত হবে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানিয়েছেন, এ কাজটি শেষ হলে কুয়াকাটার সকল মানুষসহ পর্যটকের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে কুয়াকাটার সৌন্দর্যও বাড়বে বহুগুণে।
Leave a Reply