বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
আমজাদ হোসেন, বাউফল প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের কর্মকর্তাদের ভুলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারন বিদ্যুৎ সুবিধাভোগী গ্রাহক। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, গত জুলাই মাসের নির্ধারিত বিদ্যুৎ বিল যথাসময়ের পূর্বে পরিশোধ করা সত্বেও চলতি মাসে পরের মাসের (আগষ্ট) বিলের সাথে বিলম্ব মাশুলসহ (জমিমানা) সংযুক্ত করে বিল প্রস্তুত করায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকেরা।
উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের র্কোট পাড় এলাকার বয়স্ক গ্রাহক মো: এপরাজ মিয়া এই ভোগান্তির শিকার হয়ে বলেন, আমার হিসাব নং -২৬১-১৩৭৭। গত জুলাই মাসের বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শেষ তারিখ ৬ আগষ্ট কালাইয়া মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পরিশোধ করি। নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করার পরও আমার কাছ থেকে ব্যাংক কতৃপক্ষ ১৮টাকা জরিমানা রাখেন। ৩৮০টাকা বিলে দিতে হয় ৩৯৮ টাকা। হতাশার আর ভোগান্তির সূরে এপরাজ মিয়া বলেন, আগষ্ট মাসের বিল পরিশোধ করার পরও জুলাই মাসের বিলের সাথে জরিমানা ফি সহ বিল প্রস্তুত করা হয়।
এক প্রশ্নে জবাবে এপরাজ বলেন, কি আর করবো ৪০টাকা ভাড়া দিয়ে বাউফল গিয়ে জামেলা শেষ করতে হবে! কষ্ট করবো ফাও! একই ভোগান্তির শিকার পূর্ব কালাইয়া গ্রামের মো: মিজানুর রহমান নামের এক গ্রাহক। তার হিসাব নং- ৩৭৯-১০২০। জুলাই মাসের বিল পরিশোধ করার পরও আগষ্ট মাসে বিলম্ব ফি সহ বিল প্রস্তুত করেছে অফিস পল্লী বিদ্যুৎ। মিজান বলেন, জুলাই মাসে ২৬৮টাকা বিল পরিশোধ করি নির্ধারিত সময়ের আগে।
তবুও আগষ্ট মাসের ২৮৯ টাকার বিলের সাথে জুলাই মাসের জরিমানা সহ ৫৬৯ টাকা বিল আসে। আবদুল আলী ও সেরাজ ব্যাপারী নামের আরও দু’গ্রাহক একই রকম ভোগান্তির শিকার পল্লী বিদ্যুতের। এছাড়াও দশমিনা ও বাউফল উপজেলার শতাধিক গ্রাহকে পড়তে হয়ে হয়রানী মুলক ভোগান্তিতে। ২০০টাকার বিল সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করেত যাতায়াত খরচ হচ্ছে ৩০০টাকা।
অপর দিকে ক্ষতি হচ্ছে মূল্যবান সময়। এব্যাপারে বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) একেএম আজাদ তাঁদের ভুল শিকার করে বলেন পরিশোধকৃত বিল ভুল:বশত এন্টি না করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আগামীতে এরকম ভুল এড়িয়ে চলবে তাঁর অফিস।
এক প্রশ্নে জবাবে বলেন, আফিসে আসলে আমরা ওই বিলের সমস্যার সমাধান করে দিবো। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাউফল ও দশমিনা উপজেলায় বিদ্যুতের অস¦াভাবিক লোডশেডিং এবং লো-ভোল্টেজ থাকায় সিমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কয়েক লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহক। সম্যসার সমাধানের জন্য কাজ চলছে বলে দাবী কতৃপক্ষের।
Leave a Reply