মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার: পটুয়াখালীর ছোট বিঘাই ইউনিয়নের মাটিভাংগা গ্রামে রসিক দেবরের হাত ধরে পালিয়ে গেছে তার রসের ভাবি। গত বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি। স্বজন ও প্রতিবেশিদের দাবী পরকিয়ার টানে ঘর ছাড়া হয়েছে দেবর-ভাবি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে পটুয়াখালী সদর উপজেলার মাটি ভাংগা গ্রামের মো. সুলতান গাজীর ছেলে বাস চালক মো: মাসুম গাজী (২২) এর সাথে মোবাইল ফোনে রং নম্বরে পরিচয় হয় একই জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. সেলিম ওরফে সেলিম ড্রাইভারের কন্যা আয়শা আক্তারের।
পরিচয় থেকে প্রেম এবং তার পরে উভয় পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়। কিন্তু বাস চালক হওয়ায় বেশিরভাগ সময় মাসুম গাজীকে থাকতে হয়েছে ঢাকায়। যার কারনে স্বামীকে ছাড়াই মাটি ভাঙা গ্রামে একাকি থাকতে হয় স্ত্রীকে।
সেই সুযোগটাই কাজে লাগান মাসুমের বাড়ির পাশের চাচাত ভাই ও মো. দুলাল দাওলাদারের ছেলে রসিক দেবর মো. দীন ইসলাম। ভাবিকে ফাঁসিয়ে দেন নিজের পরকিয়ার জ্বালে। ঘটনাটি ধরা পড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে ইতিপূর্বে ছোট-খাটো শালিস ব্যবস্থাও হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু প্রেম না শোনে শাসন-বারণ।
তাই গত ২৯ মে বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী মাসুম গাজী নদীতে মাছ ধরতে যান। সেই সুযোগে পরকিয়া প্রেমিক দীন ইসলামের হাত ধরে অজানার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান স্ত্রী আয়শা বেগম। এসময় সাথে করে নিয়ে যান স্বর্ণালংকার ও কিছু টাকা। রাতভর খুঁজে না পেয়ে স্ত্রী মাসুম লিখিত অভিযোগ দেন পটুয়াখালী সদর থানায়।
পটুয়াখালী সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. আব্দুল হাই বলেন, ঘটনার সত্যতা রয়েছে। তাই লিখিত অভিযোগ পেয়ে আয়শা ও তার পরকিয়া প্রেমিককে আটকের চেষ্টা করছি।
Leave a Reply