বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বরিশাল-বরগুনা মহাসড়কের কাকরাবুনিয়া গ্রামে খালের জমি দখল করে এক ব্যক্তি স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খালটি পায়রা নদী থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এলাকার কৃষকেরা সেচের সুবিধার জন্য খালটি আরও খনন করেন। কাকরাবুনিয়া বাজার থেকে গাজীপুরা পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার লম্বা এ খাল। এখন সেচ কাজের জন্য তেমন একটা ব্যবহার না হলেও পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। গত তিন সপ্তাহে মেলকার বাড়ি বাঁধঘাট এলাকার অংশে খালটির ওপর খলিলুর রহমান মেলকার নামে এক ব্যক্তি পাকা ঘর তৈরি শুরু করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, খালটির পাড় থেকে ভেতরের দিকে প্রায় ১০ ফুট পর্যন্ত কংক্রিটের পিলার নির্মাণ করা হয়েছে। ঢালাই দিয়ে পিলারের ওপরে ফ্লোরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। খালের পাড়ের অংশে মাটিও ভরাট করা হয়েছে। এসব স্থাপনা নির্মাণের জন্য খালের প্রায় ১ শতাংশ জায়গা দখল করা হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না।
কাকরাবুনিয়া গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, গ্রামের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ খালটি। দখলের কারণে এটি অনেকটাই ছোট হয়ে এসেছে। কাকরাবুনিয়া খালের ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ব্যাহত হবে।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান মেলকার বলেন, আমার পৈতৃক জায়গায় আমরা দোকান নির্মাণ করতেছি। খালের কিছু অংশে কয়েকটি পিলার গেছে। খালের জমি হয়ে থাকলে সরকার চাইলে ভেঙে ফেলা হবে। সেখানে দেয়াল করা হয়নি। পানি চলাচলে কোনো বাধা সৃষ্টি হবে না। উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘খাল বা জলাধার বন্ধ করে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে। উপজেলা সার্ভেয়ার অফিসার জমি মাপার পরে খালের ভেতরের অংশটুকু ভেঙে ফেলা হবে।
Leave a Reply