শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৯ পূর্বাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালী জেলায় প্রায় ১২ শত আয়রন ব্রীজ রয়েছে।যার ৮০ ভাগ ঝুঁকিপূর্ন এবং চলাচলে অনুপযোগী।স্থানীয়দের সহযোগীতায় জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার হচ্ছে এই ব্রীজগুলো।দীর্ঘ দুই থেকে তিন যুগ পূর্বে সনাতন পদ্ধতিতে এই আয়রন ব্রীজ গুলো বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়।ফলে প্রতিনিয়ত এ সব ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে লাখ লাখ এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।এলজিইডি সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আবু হানিফ মৃধা এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা এলজিইডি সুত্রে জানা গেছে,পটুয়াখালী সদর উপজেলায় ৮২ টি,দশমিনায় ৩৭ টি,রাঙ্গাবালীতে ১৫ টি,দুমকীতে ২৫ টি,কলাপাড়ায় ৫৩ টি,বাউফলে ২৯৫ টি,মির্জাগঞ্জে ৪৮০ টি এবং গলাচিপা উপজেলায় ২২০ টিসহ জেলায় মোট ১২০৭টি আয়রন ব্রীজ রয়েছে।
এদের মধ্য অধিকাংশ ব্রীজ গুলো ঝুকিপূর্ন অথবা চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।তবে ঝুঁকিপূর্ন আয়রন ব্রীজ গুলো অপসারন করে আর সিসি ব্রীজ নির্মান করার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।এজন্য পটুয়াখালীতে প্রাথমিকভাবে ২শ কোটি টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়।তবে পর্যায়ক্রমে এসব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,সদর উপজেলার ছোট বিঘাই ইউনিয়নের তুষখালী হোসানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেনীর ছাত্র নাইম (১৩) এবং ষষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র মোঃ হাছিবুল (১২) পৃথক সময়ে পাঠদান শেষে বাড়ী ফেরার পথে হরতুকিবাড়িয়ার একটি পুরোন আয়রন ব্রীজ থেকে পড়ে যায়।এ সময় সহপাঠিদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ওই দুই শিশুকে খাল থেকে উদ্ধার করেন।এভাবেই প্রতিদিন ওই ব্রীজটি পাড় হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় শিশু-নারীসহ অগনিত মানুষ।গ্রামীন জনপদের মানুষ জীবিকার দাগিতে এ সকল ঝুকিপূর্ন ব্রীজগুলো দিয়ে চলাচল করে প্রতিনিয়ত শিকার হয় দূর্ঘটনার।
Leave a Reply