নলছিটিতে আবদুল জলিল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পি Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




নলছিটিতে আবদুল জলিল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পি

নলছিটিতে আবদুল জলিল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পি




নলছিটি প্রতিনিধি:ঝালকাঠির নলছিটিতে চারদিন ধরে গভীর রাতে উচ্চ শব্দে পিকনিকের গান বাজানো নিষেধ করায় আবদুল জলিল হাওলাদারকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে মামলার প্রধান আসামী ছাত্রলীগ নেতা মুনিম খান বাপ্পি। রবিবার রাতে উপজেলার মিরহার গ্রামের বাড়ির সামনে থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করার পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে সে হত্যার কথা স্বীকার করেন।

 

গ্রেপ্তারকৃত বাপ্পি মগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও মিরহার গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুম হোসেনের ছেলে।
নলছিটি থানার ওসি (তদন্ত) আবদুল হালিম তালুকদার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করেছে। নলছিটি থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আজ সোমবার সকালে তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে আদালতে হাজির করা হবে।
গত শুক্রবার রাতে উচ্চ শব্দে পিকনিকের গান বাজানো নিষেধ করায় বাড়ির সামনেই লাঠিদিয়ে আঘাত করে আবদুল জলিল হাওলাদারকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে জিহাদ হাওলাদার বাদী হয়ে শনিবার রাতে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, মিরহার গ্রামের উজ্জত আলী হাওলাদারের বাড়িতে পাঁচ দিনব্যাপী বার্ষিক মিলন মেলা (পিকনিক) অনুষ্ঠান চলছিল।

 

তিন দিনধরে কয়েকজন যুবক উচ্চ শব্দে সাউন্ডবক্স বাজিয়ে অনুষ্ঠান করছিল। শুক্রবার গভীর রাতেও তারা সাউন্ডবক্স বাজায়। এতে স্থানীয়দের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। মসজিদের মুসল্লিরাও তাদের গান-বাজনা বন্ধ করতে বলেন। এক পর্যায়ে অতিষ্ট হয়ে শুক্রবার রাত ১২টার দিকে একই বাড়ির আবদুল জলিল হাওলাদার এসে সাউন্ডবক্স বন্ধ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পিকনিকে অংশ নেওয়া যুবকরা তাকে উদ্দেশ্য করে অশালিন ভাষায় গালাগাল করে। এতে ওই যুবকদের সঙ্গে কথার কাটাকাটি হয় জলিল হাওলাদারের।

 

যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে তাঁর ঘরের সামনে কিছু অংশ ভাংচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে প্রতিবেশী মুনিম খান বাপ্পি লাঠি দিয়ে আবদুল জলিলের মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুনিম খান বাপ্পি মগড় ইউনিয়ন পরিষদের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মাসুম হোসেনের ছেলে।

 

নিহতের ছেলে জিহাদ হাওলাদার অভিযোগ করেন, পিকনিকে বাজানো উচ্চ শব্দের সাউন্ডবক্সের কারণে রাতে কেউ ঘুমাতে পারছিল না। আমার বাবা সাউন্ডে অতিষ্ট হয়ে ঘর থেকে বের হয়ে এর প্রতিবাদ করলে তাঁর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাপ্পি। এসময় পিকনিকে অংশ নেওয়া কয়েকজন যুবক তাদের বসতঘরের সামনের অংশ লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ভাংচুর করে। এ ঘটনায় আমরা মামলার প্রস্তুতি নিয়েছি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী মমতাজ বেগম বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘ ৩৫ বছর বিদেশে চাকরি করে দেশে আসেন। পরিবারের সঙ্গে তিনি গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করছিলেন। বাপ্পি আমার স্বামীর সঙ্গে তর্কাতর্কি করলে আমি থামাতে যাই। তখন সে আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। আমি উঠে আসার আগেই আমার স্বামীর মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আমার স্বামীর হত্যাকারীর বিচার চাই।

বাপ্পির বাবা মাসুম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, আমার ছেলে জলিল হাওলাদারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাকে কোন আঘাত করা হয়নি।

 

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD