সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
বরিশাল মহানগরীতে অটোরিক্সা চালককে মারধরের প্রতিবাদে প্রায় চার ঘন্টা গ্যাসচালিত অটোরিক্সা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ করেছে চালকরা। বৃহস্পতিবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ সড়কের দুপাশে অটোরিক্সা বন্ধ করে রেখে এই প্রতিবাদ জানায় তারা। আর এই প্রতিবাদ চলে দুপুর ১ টা পর্যন্ত।
বরিশাল জেলা অটোরিক্সা অটোটেম্পু ও থ্রী হুইলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: ৫১৭) সদস্য হুমায়ুন কবির জানান, গ্যাসচালিত অটোরিক্সার পরিবহন রুট হলো নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে নতুনবাজার হয়ে লঞ্চঘাট পর্যন্ত। কিন্তু প্রশাসন যানজট মুক্ত রাখতে সকাল ১০টার পর বাইপাস সড়কের মাধ্যমে নতুন বাজারের মোড় থেকে মড়কখোলার পোল, জেলে বাড়ির পোল, হাসপাতাল রোড হয়ে লঞ্চঘাট যাত্রী পরিবহন করে থাকি।
তিনি আরো জানান, শারদীয় দূর্গা উৎসবের সময় ঐ রুটটি কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে দূর্গাৎসব শেষ হলে আবার যখন ওই রুট দিয়ে আমরা চলাচল শুরু করি। তখন স্থানীয় জনগন জেলে বাড়ির পোল সংলগ্ন সড়ক থেকে অটোরিক্সা চলাচলে বাধা দেয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে অটোচালকদের বাকবিতন্ডা হয়। এছাড়াও স্থানীয়রা কয়েকজন অটোচালককে মারধরও করে।
কবির অভিযোগ করে বলেন, শুধু এটাই নয়, ওই রুটে যখন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমাদের কাউনিয়া নাজিরের পোল ঘুরে লঞ্চঘাট যেতে হয়। এতে নগরীর অমৃত লালদে কলেজের শিক্ষার্থী, সদর হাসপাতালের রোগী কিংবা যাত্রী পরিবহন করতে পারিনা। এছাড়াও অনেক যাত্রীরা এত পথ ঘুড়ে যাওয়ার পর বেশি ভাড়া দেয়না বরং উল্টো ধমকিয়ে যায়।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত নগরীর ফজলুল হক এভিনিউ এর রাস্তার দুই পাশে প্রায় দেড় শতাধিক গ্যাস চালিত অটোরিক্সা বন্ধ করে রাখা হয়। এতে সৃষ্টি হয় তীব্র জানজট। ভোগান্তীতে পরে সাধারন যাত্রীরা।
পরে দুপুর দেড়টায় ট্রাফিক পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পুনরায় জেলেবাড়ির পোল সড়কে দিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু করে অটো চালকরা। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা অটোরিক্সা অটোটেম্পু ও থ্রী হুইলার চালক শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: ৫১৭) প্রচার সম্পাদক কবির শিকদার।
এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, জেলেবাড়ির পোল সড়কে অটোরিক্সা চালানো নিয়ে স্থানীয়দের সাথে চালকদের বাকবিতন্ডা হওয়ায়। এতে গ্যাসচালিত অটোরিক্সার চালকরা নগর ভবনের সামনে রাস্তার দুই পাশে অটোরিক্সা রেখে প্রতিবাদ করে। পরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
Leave a Reply