রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
খন্দকার রাকিব ॥ বরিশাল এখন অপার সম্ভাবনার নগরী। নব নির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই জনমনে আশা আকাঙ্খার সঞ্চার করে চলছেন। তিনি বরিশালের উন্নয়ন, অপরাধ দমন ও সাংস্কৃতিক কর্মকা- জোরদার করার লক্ষ্যে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। নগরীর এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন নগরবাসীর সমস্যা, ভোগান্তিসহ নানা সমস্যার বিষয়ে জানতে। যা অতীতে কোনোদিন কখনও এ দৃশ্য নগরবাসী প্রত্যক্ষ করেনি। মেয়র সাদিকই পারবেন নগরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন, নগরীর উন্নয়ন ও নগরবাসীকে নিরাপত্তা দিতে। এটাই এখন নগরবাসীর প্রত্যাশা।
মেয়র হওয়ার আগ থেকেই তিনি বরিশাল নগরীর সর্বস্তরের নাগরিকের খোঁজ খবর নিতেন ও নগরীর উন্নয়নের জন্য ভাবতেন। আর মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পরই তিনি তার দক্ষতার পরিচয় দিয়ে ইতিবাচক কাজ করে যাচ্ছেন। রিক্সায় ঘুরে ঘুরে মানুষের খোঁজ খবর নেয়া, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তার মোবাইল নাম্বার জনগণের মাঝে দিয়ে দেয়া ও নগরীর অবহেলিত বস্তিবাসীর কাছে ছুটে যাওয়াই বলে দিচ্ছে মেয়র সাদিকই পারবেন বরিশালবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন করতে ও নগরীর উন্নয়ন করতে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে সাধারণ মানুষের মত রিকশায় ঘুরতে দেখে কথাগুলো বলছিলেন উৎস্যুক মানুষগুলো। যদিও নগরীর সাধারণ মানুষের সাথে তাল মিলিয়ে সাদিকও বিভিন্ন স্থানে একই কথা বলছেন। তিনি বলছেন, ‘‘নগরবাসীর উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করব। বরিশালকে সুন্দর ও আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। তবে এ ব্যাপারে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।” তিনি বলেন, ‘‘জ্ঞানী গুণী বয়:জ্যেষ্ঠ ও নগরবাসীকে সাথে নিয়ে নতুন পরিকল্পনায় বরিশালকে উন্নত রূপে সাজাবার জন্য আমার নিজস্ব একটি পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সবার আগে আমি নগরীর বর্ধিত এলাকাসহ পানি সমস্যার দিকে নজর দিয়ে কাজ করতে চাই। আমি সিটি মেয়র হিসেবে এমন কিছু করতে চাইনা আর করবও না যার প্রভাব আমার নেত্রী জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীসহ আমার দল ও আমার গায়ে দাগ পড়ে।” তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্বাচনকালীন সময়ে অনেকের কাছে আমার যাওয়া হয়নি আমি তাদের কাছে গিয়ে সকলের কাছে দোয়া চাইব। আমাদের দেশে একটি প্রচলন আছে নির্বাচনের পড়ে আর কেহ ভোটারদের কাছে তেমন যায়না আমি সেই ধারায় চলতে চাইনা। আমি সেই ধারাবাহিকতার পরিবর্তন করতে চাই।
আমি নগরীর সকল মানুষের কাছে আবার যেতে শুরু করেছি এবং যাচ্ছি সেই সাথে তাদের সমস্যার কথাগুলো জেনে নিচ্ছি। আমি কারো সমলোচনায় বিশ্বাসী নই। নির্বাচনে পক্ষ-বিপক্ষ থাকবে এখানে রাগের কোনো স্থান নেই। আমি নির্বাচনে যাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি তাদের সকলের কাছে গিয়ে আমি বরিশালকে উন্নত শহরে পরিণত করার কাজে সহযোগিতা চাইব। আমি নগর ভবনকে একটি স্বচ্ছ ভবন হিসাবে গড়ে তুলতে চাই যা এখান থেকে ওখানের সব কিছু দেখা যায়, এখানে কোনো দুর্নীতি ও স্বজন প্রীতির স্থান হবে না।” গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কথার মাধম্যে তিনি মানুষের মনে জায়গা করে নেন। যেমন: মেয়র নির্বাচিত হতে পারলে নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করবো, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক তা মাথা পেতে মেনে নিব, আমি জনগণের ভোটে জয়ী হতে চাই। অন্যান্য প্রার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেছিলেন, সেনা মোতায়েনে আমার কোনো আপত্তি নেই। মেয়র নির্বাচিত হয়েই তিনি বেশ কয়েকটি ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে তিনি নগরীর সাধারণ মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। যেমন: তিনি নেতাকর্মীদের বিজয় মিছিল করতে দেননি।
শোকের মাসে তিনি কোনো ফুলেল শুভেচ্ছা নেননি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী পরাজিত মেয়র প্রার্থী বিএনপি নেতা মজিবর রহমান সরোয়ারের সাথে দেখা করতে তার বাসায় যাওয়া। বাসায় গিয়ে মজিবর রহমান সরোয়ারকে বাসায় না পেয়ে তাকে ফোন করে খোঁজ খবর নেয়া। রিকশায় ঘুরে নগরবাসীর সাথে দেখা করা ও খোঁজ খবর নেয়া। বরিশালে শিক্ষার্থীদের আনন্দোলন যখন পুলিশ থামাতে পারছিলো না ঠিক তখনই রাস্তায় নেমে তাদের সাথে দেখা করে বিভিন্ন আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঘরে ফেরানো। আন্দোলনের সময় এক শিক্ষার্থীর মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়লে তাকে মোবাইল কিনে দিয়ে অনন্য এক উদাহরণ সৃষ্টি করেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি নগরীর অবহেলিত বস্তিবাসীর দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি তিনি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে তার মোবাইল নম্বর জনগণের কাছে দিয়ে দেন। সাদিক আবদুল্লাহর এমন কর্মকা-ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে অনেকেই বলছেন, “মেয়র সাদিকই পারবেন নগরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন করতে”।
Leave a Reply