সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক নিউজ।।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্র গুলো নিয়মিত খোলা থাকে না, ডাক্তার পাওয়া যায় না এবং টাকা ছাড়া কোন ঔষধ পাওয়া যায় না। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারী স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক সামাজিক নিরীক্ষা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তৃনমূলের ভূক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আভাস’র আয়োজনে এবং একশনএইড বাংলাদেশের সহযোগীতায় শনিবার বেলা এগারটায় কলাপাড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রবীন সাংবাদিক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে ও আভাসের সমন্বকারী মনিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. চিন্ময় হাওলাদার। সভায় ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোর উপর সামাজিক নিরীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন উন্নয়নকর্মী মর্জিনা বেগম।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইলিয়াশ খান রানা, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহসীন পারভেজ। আলোচনা করেন, সাংবাদিক জীবন কুমার মন্ডল, অশোক মুখার্জী, গোফরান বিশ্বাস পলাশ, উন্নয়নকর্মী অমল কুমার প্রামানিক।
তৃনমূল প্রতিনিধি জোসনা বেগম অভিযোগ করেন, লালুয়া ইউনিয়নের বানাতিবাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি জাকির হোসেন টাকা ছাড়া কোন রোগীর চিকিৎসা এবং ঔষধ দেন না। মুক্তিযোদ্ধা বাজারের কমিউনিটি ক্লিনিকের শিল্পী বেগমকে ইনজেকশন পুশ করতেও টাকা দিতে হয়। সুগন্ধা রানীর অভিযোগ নাওভাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি র্দূব্যবহার ও টাকা ছাড়া চিকিৎসা সেবা না দেয়ার কারনে গ্রামের মানুষ সেখানে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে না।
দ্বিঘর বালিয়াতলী, দেবপুর ও মাছুয়াখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে কোন স্বাস্থ্য সেবা এবং টাকা ছাড়া ঔষষ পাওয়া যায় না। সিএইচসিপি জাকির হোসেন ও তাপসী গাজীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. চিন্ময় হাওলাদার বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply