শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৬ অপরাহ্ন
‘সাক্ষাৎকার নেয়ার অপরাধে সাংবাদিককে দেখে নেয়ার হুমকি আক্কাসের’
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ ঝালকাঠি সদর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হতে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন এক শিক্ষিকা। এমন অভিযোগ তুলে বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর লিখিত একটি আবেদন করা হয়েছে। আর ওই অভিযোগের কপি সংবাদকর্মীর হাতে পৌছালে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বক্তব্য নিতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেয়ার অপরাধে এ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে এ প্রতিবেদককে দেখে নেয়া সহ মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষক পদ প্রদান-২০১৮ এর বাছাই প্রক্রিয়ায় ঝালকাঠি সদর উপজেলা ও জেলার বাছাই কমিটি কর্তৃক শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা মনোনয়নে নির্ধারিত ছক মোতাবেক ডকুমেন্টস ব্যতীত ইচ্ছাকৃত নম্বর প্রদানপূর্বক পূর্ব বিন্নাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শাহানা আক্তারের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। ঝালকাঠি সদর উপজেলা মনোনীত শিক্ষক/শিক্ষিকাদের তালিকা চলতি বছর ১৩ সেপ্টেম্বর বাছাই করা হয়েছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে শিক্ষিকা শাহানা আক্তার যাতে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন এজন্য বেশকিছু অনিয়মের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে চাকুরীকালে সার্ভিস বহি অনুযায়ী প্রাপ্য নম্বর ২ হলে সেখানে ৫ নম্বর প্রদান করা হয়েছে। প্রকাশনার ক্ষেত্রে প্রাপ্য ২ এর স্থলে ৫ নম্বর, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র মোতাবেক প্রাপ্য নম্বও ৭ এর স্থলে ৯, বিশেষ পাঠদানে বিদ্যালয়ের ফলাফলে একটিও এ+ গ্রেড না থাকলেও পূর্ণ ৫ নম্বর প্রদান এবং কাবিং/খেলাধূলো/অভিনয়/গান/বিতর্ক বিষয়ে প্রাপ্য নম্বর ২ এর স্থলে ৫ নম্বর প্রদান করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানা আক্তার ২৮/৬/২০১৮ইং তারিখের অধিদপ্তর স্মারক নং-৩৮.০১.০০০০.৪০০.১৯.০০১.১৮.৩২ এর নির্দেশনায় প্রধান শিক্ষক চলতি দায়িত্বে পূর্ব বিন্নাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তার বিদ্যালয়ের কোন বৃত্তি নাই, তার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচনের ছক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পূরণ করা হয়েছে। অথচ তিনি তার পূর্বেও কর্মস্থল শাহী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম লেখা উপকরণ এবং ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকদের নিয়ে জেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষক/শিক্ষিকা বাছাই কমিটির বোর্ডে উপস্থাপন করেছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাহানা আক্তারের মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি। তবে তার ভাই পরিচয় দিয়ে আক্কাস সিকদার নামের এক ব্যক্তি মুঠোফোনে (নম্বর ০১৭১২-১৫৪১১৫) নিজেকে এ্যাডভোকেট দাবী করে ওই শিক্ষিকাকে ফোন দেয়ার অভিযোগে এ প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায় আক্কাস সিকদার এ প্রতিবেদককে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দেয় এবং দেখে নেয়ার হুমকি দেয়।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগীয় উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন এর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।
Leave a Reply