বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : নির্বাচনি আচরণবিধি নিয়ে বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ গণমাধ্যমে মনগড়া বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) শরিফুল আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অভিযোগ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশিষ্টজনদের কেউ কেউ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের টকশোতে বা পত্রপত্রিকায় মন্তব্য করছেন যে, নির্বাচন কমিশন আচরণ বিধিমালার প্রয়োগ বিষয়ে নির্লিপ্ত। গণমাধ্যমে প্রচারিত বিশিষ্টজনদের এমন মনগড়া বক্তব্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে। সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্টের মাধ্যমে তা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, যা মোটেই কাম্য নয়।
আগামী ১৮ ডিসেম্বরের আগে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার এবং কোনো প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ নেই উল্লেখ করে ইসি জানায়, প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারের জন্য আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
আচরণবিধিমালার ধারা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আচরণবিধির মূল বিষয় রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী। প্রার্থী দলের পক্ষে মনোনীত প্রার্থী হতে পারেন বা স্বতন্ত্র হতে পারেন। প্রার্থীরা প্রচারণার জন্য ২১ দিনের বেশি সময় পাবেন না।
ইসি জানায়, রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীতা চূড়ান্ত করার আগ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনীত বা স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থী আইন ও আচরণ বিধির অর্থে প্রার্থী নন। নির্বাচনি প্রচারণার সুযোগ হবে রিটার্নিং অফিসার বাছাই, আপীলের সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি সম্পন্ন করে কোনো একটি নির্বাচনি এলাকার জন্য প্রার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রতীক বরাদ্দ করে প্রচারণার জন্য মাঠ উন্মুক্ত করার পর। তখন ওই নির্বাচনি এলাকায় প্রার্থীদের সকলেই সমভাবে এক একজন প্রার্থী হবেন। সে সময় থেকে তাদের ক্ষেত্রে আচরণ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে। সে অনুযায়ী ২১ দিন আগে কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে যেকোনো নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ।
Leave a Reply