রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন
কলাপাড়া (কুয়াকাটা) প্রতিনিধি : কুয়াকাটার অদূরে মোনসাতলী এলাকায় জমি কিনে ভোগদখল করেেত পারছেনা শত বছরে পা রাখা অসহায়, দুস্থ চান মিয়া হাওলাদার নামে এক বৃদ্ধ।
জানাযায়, চান মিয়া হাওলাদার’র পর্যটন নগরী কুয়াকাটা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে মাথা গোজার একমাত্র ঠাই ছিল চার কাঠা জমি। সাগর কন্যা কুয়াকাটা, পৌরসভা ও পর্যটন শিল্প নগরীতে গড়ে ওঠায় জমির মূল্য বৃদ্ধি পায়। যেকারণে অসহায় ওই পরিবারের শেষ সম্বলটুকু চার কাঠা জমি বিক্রি করে দেন। অন্যত্র কমদামে কিছু জমি রেখে সেখানে বাড়ি ঘর করে শেষ সময়টা পার করবেন বলে। কিন্তু চোরে শোনে না ধর্মের কাহিনী বিষয়টি এখন তেমনী হয়েছে।
চান মিয়া হাওলাদার কান্না বিজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার শেষ সম্বল কুয়াকাটার চার কাঠা জমি বিক্রি করে সেটাকা দিয়ে ২৬-০৫-২০১১ইং তারিখ সর্বমোট সাত লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা বায়ে (রেজি:সহ) মো: জলিল কাজি ও মোসাম্মাৎ ফাতেমা বেগম এর কাছ থেকে মোনসাতলী মৌজায় ১১নং ডাবলুগন্ড ইউনিয়নে এক একর পঞ্চাশ শতাংশ জমি ক্রয় করি। কিন্তু জমি ক্রয় করে সরকারের খাজনা রাজস্ব আট হাজার পাঁচ শত উনাশি টাকা পরিশোধ করেও অদ্য পর্যন্ত আমি সে জমি বুঝে পাইনী।
তিনি ফুফু করে কেঁদে কেঁদে বলতে থাকেন, বর্তমানে আমার কোনো বসতবাড়ি ও আয়ের উৎস নাই। আমি আমার স্ত্রী দুজনই বয়সের ভারে অসুস্থ। বর্তমানে আমার পারিবারিক অবস্থা খুবই নাজুক। আমার স্ত্রী দুইবার স্ট্রোক করার পর অচল অবস্থায় আছে। মৃত্যুর পর আমার শেষ ঠিকানা কবরের জায়গাটুকু নেই।
বিষয়টি নিয়ে কুয়াকাটা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ সাগর মোল্লা ও বরকোতিয়া এলাকার মোঃ বায়জিদ খান, মোঃ মাহতাব সরদার, মোঃ বিয়াজ মৃধা, মহিলা ইউ,পি সদস্যা মোসা: নাজমা বেগম, মোঃ সহিদ মাস্টার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি নিয়ে ৫/৬ বার সমঝোতার চেষ্টা চালালেও তা ব্যর্থ হয়। কারণ জমি দাতাগণ স্থানীয় একটি কু-চক্রি মহলের যোগসাজশে জমি বুঝিয়ে না দেয়ার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্র মূলক বার বার সময় নিয়ে কালক্ষেপন করছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন পর্যালোচনা সাপেক্ষে জানাযায়, এঘটনার সাথে স্থানীয় একটি কু-চক্রি মহল জড়িত রয়েছে। জমি দাতা মো: জলিল কাজি ও মোসা: ফাতেমা বেগম এর সাথে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় জমির মিডিয়াকারী অর্থলোভী মো: হানিফ কাজি ওরফে পিলার হানিফ, মো: শাহজাহান মৃধা ওরফে টুন্ডা শাহজান, মো: সোহরাব কাজি ও মো: জালাল কাজি। এদের ষড়যন্ত্রের শিকার চান মিয়া হাওলাদার তার ক্রয়কৃত জমি ভোগদখলে যেতে নাপেরে অন্যের বাড়িতে অসুস্থ্য স্ত্রীকে নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। জমি উদ্ধারে তিনি বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে ঘুরছে আর কাঁদছে।
এ ব্যাপারে জমির মিডিয়াকারী মো: হানিফ কাজি বলেন, আমি মিডিয়া করে জমি রেখে দিয়ে রেজিষ্ট্রি করে দিয়েছি সত্য কিন্তু কিছু টাকা পাওনা আছে বিধায় সে টাকা দিচ্ছেনা যেকারণে বসার কথা বলে বসছেনা তারা।
এ ব্যাপারে মো: শাহজাহান মৃধা বলেন, ওই অংশের জমি আমার পিতা ১৯৬৪সালে মো: জলিল কাজির পিতা রুস্তুম আলী কাজির কাছ থেকে ক্রয় করে সে থেকে আমরা ভোগদখলে আছি। এখন চান মিয়া হাওলাদার এক একর পঞ্চাশ শতাংশ জমি ক্রয় করেছেন সে জমি দাতার ভাই বোনদে দখলে রয়েছে। এখন তারা কি করবে সেটা তাদের ব্যাপার।
অসহায় ওই বৃদ্ধের আকুতি তিনি যেন তার জমিটুকু বুঝে পেয়ে ভোগদখল করতে পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
Leave a Reply