মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি।। কলাপাড়ার ধুলাসার ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলী গ্রামে স্বামী মো. সিদ্দিককে মারধর করে বেধে রেখে নিঃসন্তান গৃহবধু আসমা বেগমকে (৩০) গণধর্ষণ মামলাটি মহিপুর থানায় এজাহার হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলাটি হাতে পেয়ে মহিপুর পুলিশ নড়ে চড়ে বসেছে। পুলিশ এ মামলার তিন নম্বর আসামি রবিউল ও অজ্ঞাত আসামি মামুনকে পুলিশ মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করে।
এরা দু’জন রাবনাবাদ নদী পেরিয়ে রাঙ্গাবালীর মৌডুবির দিকে পালাচ্ছিল। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ ব্যাপক অভিযানে নেমেছে। সোমবার, ১৫ এপ্রিল রাতে ধৃত আসামিসহ ১৫/১৬ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ এদম্পতির ওপর হায়েনার মতো হামলে পড়ে। স্বামীকে বেধে তার সামনেই পালাক্রমে ধর্ষণ করে স্ত্রীকে।
ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী জানান, এ মামলার প্রধান আসামি শাহআলম মাঝিসহ অধিকাংশের দলের পদ-পদবী নেই। হঠাৎ নব্য হাইব্রিড হিসেবে নিজেদের জাহির করে দলের পরিচয়ে এমনসব অপকর্ম করছে। এরা এলাকায় ত্রাসসহ চাদাবাজি করে বেড়ায়। এদের কারণে ধুলাসারে এখন দলের ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে। এচক্রের নব্য হাইব্রিড সকলকে আইনের আওতায় ছাড়াও দলের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছিন্নের দাবি উঠেছে।পশ্চিম চাপলী গ্রামের ওই দম্পতির ওপর হামলা তান্ডব গণধর্ষণের ঘটনা আওয়ামী বিরোধী লোকজন যেন একটি বিশেষ সুবিধা পেয়েছে।
দলের কেউ নয়। অথচ নব্য হাইব্রিড এসব বোঝা দলটির কাঁধে ঝুলে গেল। ঘটনার রাতে এনিয়ে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সিদ্দিক ও তার নির্যাতিত স্ত্রী আসমা মঙ্গলবার সকালে কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলেও সিদ্দিককে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। কিন্তু তার স্ত্রীর চিকিৎসা নিয়ে গড়িমসি করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা দুপুরে হাসপাতালে গেলে আসমাকে ভর্তি দেখানো হয়। নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েন এ দম্পতি। তবে দুপুরে মনো কাউন্সিল শেষে ভিকটিম আসমাকে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেল এর প্রোগ্রাম অফিসার মো. ইদ্রিস আলম মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে আইনি সহায়তার জন্য লিখিত সুুপারিশ করেন। কিন্তু সিদ্দিক ও তার স্ত্রীর অবস্থা আরও অবনতি ঘটলে উভয় পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়। বুধবার দুপুরে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, সোমবার রাতে স্ত্রী আসমাকে নিয়ে খালা হাসিনা বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায় সিদ্দিক হাওলাদার। খাওয়া-দাওয়া শেষে কথা বলছিলেন। এসময় আসামিরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঢুকে সিদ্দিক হাওলাদারকে মারধর করে বেধে প্রথম দফায় এবং দ্বিতীয় দফায় পাশর্^বর্তী মাছের ঘেরে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে অসুস্থ অবস্থায় পাশের এলাকার মেম্বার আনোয়ার ফকিরের বাড়িতে রেখে যায়। মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুল আলম জানান, বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply