শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৭ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার উপকূলীয় এলাকায় গত ক’দিনের আগাম বৃষ্টিপাতে রবিশষ্য ক্ষেতের ক্ষতির আশংকায় দু:শ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক। অসময়ের বৃষ্টিপাতে রবিশষ্য ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় নালা কেটে পানি নামাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষক।
প্রকৃতির এ বিরুপ আচরনে উপজেলার বেশ কিছু এলাকার শাক শবজি, মরিচ, ভুট্রা, মুগ ডাল, সূর্যমুখী, চিনা বাদাম ও মিষ্টি আলু ক্ষেতে পানি জমে চারা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরিস্থিতির উত্তরনে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষককে পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছেন।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলার ২০০০ হেক্টর জমিতে শাক সবজির চাষ হয়েছে, ৫২০ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৬২০ হেক্টর জমিতে ভুট্রা, ২০০০ হেক্টর জমিতে মুগ ডাল, ৮০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী, ৫৫০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম ও ১৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে।
গত ক’দিনের আগাম বৃষ্টিপাতে কৃষকের রবিশষ্যের ক্ষেতে পানি জমে যায়। এতে কৃষক ক্ষতির আশংকায় দিশেহারা হয়ে পড়েন। ফলে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকের পাশে দাড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তরনে সঠিক পরামর্শ প্রদান করছেন। কৃষি ক্ষেত থেকে জলাবদ্ধতার পানি নামাতে নালা কেটে দিচ্ছে কৃষক।
কৃষি বিভাগ সূত্রটি আরও জানায়, অসময়ের এ বৃষ্টিপাতে শাক সবজি ক্ষেতের শতকরা ২০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শংকা রয়েছে, মরিচ ক্ষেতের শতকরা ৩০ ভাগ, ভুট্রা ক্ষেতের শতকরা ৫ ভাগ, মুগ ডাল ক্ষেতের শতকরা ২০ ভাগ, সূর্যমুখী ক্ষেতের শতকরা ৩০ ভাগ, চিনাবাদাম ক্ষেতের শতকরা ২৫ ভাগ ও মিষ্টি আলু ক্ষেতের শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শংকা রয়েছে। তবে যথাসময়ে রবিশষ্যের ক্ষেত থেকে পানি নামাতে পারলে ক্ষতির পরিমান কমবে।
উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের কৃষক ইউনুস মেকার বলেন, গত ক’দিনের হঠাৎ বৃষ্টিতে মুগ ডাল ও চিনাবাদাম ক্ষেতে পানি জমে চারা নষ্টের উপক্রম হয়েছে। রবিবার দিনভর ক্ষেতের নালা কেটে পানি নামানোর কাজ করেছি। তবে অনেক গাছের চারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।’
লতাচাপলি ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক জলিল মাঝি বলেন, ’আগাম বৃষ্টিপাতে আমার ভুট্রা ক্ষেতে পানি জমে যায়। এরপর কৃষি বিভাগের পরামর্শে পানি নামাতে ক্ষেতে নালা কেটে দিয়েছি। এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আ: মন্নান বলেন,’ আগাম বৃষ্টিপাতে কৃষকের রবিশষ্যের ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় কৃষক অনেকটা দু:শ্চিন্তা গ্রস্ত হয়ে পড়েছে।
পরিস্থিতি উত্তরনে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষককে সব রকমের পরামর্শ ও সহযোগীতা প্রদান করছে। তবে এখনই ক্ষতির পরিমান নির্ধারন করা যাবেনা। মাঠ পর্যায়ে সমীক্ষা করে রবিশষ্যের ক্ষয় ক্ষতির পরিমান নিরুপন করা যাবে।’
Leave a Reply