বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন
তানজিল জামান জয়, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ আলেয়া বেগমের ২০০৮ সালের প্রাপ্ত জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামী সেকান্দার হাওলাদারকে মৃত দেখানো হয়েছে। অথচ ২০১১ সালের ২৪ মার্চ ২৪৪২ নম্বর রেজিস্ট্রিকৃত দলিলে জীবিত দেখানো হয়েছে। এ দলিলের মাধ্যমে কলাপাড়ার মধুখালী মৌজার খাস খতিয়ানের ৫৩৭৫ নম্বর দাগের এক একর ৪৭ শতক জমি বন্দোবস্ত দেখানো হয়েছে।
এ জমিতে ১২টি দরিদ্র পরিবার প্রায় ৪০ বছর পর্যন্ত বসবাস করে আসছে। এসব জমি অন্য এলাকা কলাপাড়া পৌরসভার বাসীন্দা ছিলেন মৃত সেকান্দার হাওলাদার। তাকে জীবিত দেখিয়ে বন্দোবস্ত নেয়া হয়েছে। সেকান্দার হাওলাদারকে শণাক্ত করেছেন মেলাপাড়া গ্রামের হোসেনের ছেলে গনি হাওলাদার। এসব জমি আবার ৫০৭ ও ৫১১ নম্বর আমমোক্তার নামা দলিলে ২০১৫ সালে অধিকাংশ জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। যা বন্দোবস্ত কেসের শর্ত ভঙ্গ করার শামিল।
বর্তমানে এমন প্রতারণার বিষয়টি নজরে এনে বন্দোবস্ত কেসটি বাতিলের জন্য পটুয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এর কাছে আবেদন করেছেন পূর্বমধুখালীর বাসীন্দা জাহিদুল ইসলাম। আবেদনে এসব উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম জানান, মৃত ওই এলাকার বাসীন্দা নন এমন ব্যক্তিকে জীবিত দেখিয়ে ১২টি দরিদ্র পরিবারের বসতভিটার জমি বন্দোবস্ত দেখানো হয়েছে। যারা ওই খাস জমিতে বসবাস করে আসছে তারাও অধিকাংশ ভূমিহীন পরিবার। অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সৃজিত বন্দোবস্ত কেসটি বাতিল করে ভূমিহীন পরিবারকে খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়া হোক।
এছাড়া ভূমি অফিসসহ এমন জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি করেন বসবাসকৃত পরিবারের লোকজন। কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জগৎবন্ধু মন্ডল জানান, আবেদনটি তার কাছে পৌছলে তদন্ত করে বিধিমতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply