বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৬ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সরকারী খাস খতিয়ানভুক্ত জমি দখল করে চলছে অবৈধ স্থাপনা নির্মান কাজ। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা ভূমি অফিসের মাত্র ৫০/৬০ গজ দুরেই চলছে এমন দখল কার্যক্রম। ফলে উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) স্পিডবোট রাখার একমাত্র প্রোতাশ্রয়টি অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা নির্মানে ক্রমাগত শঙ্কুচিত হয়ে আসছে। ধারাবাহিক এমন দখল কার্যক্রমে সৌন্দর্য্য হারানোর পাশাপাশি ঝুঁকির মুখে পড়ছে পাশেই নির্মিত সংরক্ষিত হেলিপ্যাডটি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাযায়, আন্ধারমানিক নদের তীর সংলগ্ন প্রতাশ্রায়টি ইতোমধ্যেই দখলদারদের ৭/৮ টি স্থাপনা নির্মানে অর্ধেকেরও বেশি জায়গা বেদখল হয়ে আছে। বর্তমানে এসব অবৈধ দখলকৃত স্থাপনার পিছনেই নতুন করে একটি স্থাপনা নির্মান করছেন ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী অপু হাওলাদার। স্থানীয়দের অভিযোগ আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী এ হ্যালিপ্যাডটির সুন্দর্য্য বর্ধনে কাজ করে যাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এছাড়া হেলিকপ্টার জরুরি অবতারনের সময় খুবকাছেই এসব স্থাপনা থাকাটা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ। এদিকে সরকারী ভূমি অফিসের সামনে নির্বিগ্নে দখলদারদের স্থাপনা নির্মানে সংশ্লিস্টদের উদাসীনতার কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক স্থানীয় বাসিন্দারা।
নতুন স্থাপনা নির্মানকারী অপু হাওলাদার জানান, ওই জায়গায় আগ থেকে স্থাপনা ছিলো। সেখানেই নতুন স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে। তবে স্থাপনা নির্মানে বৈধতা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা আমার নিজের নয় একজন গরীব মহিলা থাকবেন। দেড়লক্ষ টাকায় এ স্থাপনা বিক্রি করা হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে চাইলে তিনি কৌশলে এড়ানোর চেষ্টা করে বলেন, ওইখানে আগে যে ছিলো তাকে বর্তমানে যে গরীব মহিলা ঘর তুলছেন সে মহিলাই দের লাখ টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে। যে নিজেই অসহায় গরীব সে কিরে আর একজনকে দেড়লক্ষ টাকা দিয়ে সাহায্য করে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি আমার ভাই, আপনার সাথে দেখা করব এছাড়া ডিসিআর পেতে আবেদন করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনুপ দাস জানান, ওই স্থাপনার ব্যাপারে জানতে পেরেছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা হবে। এছাড়া ওখানে কেউ যাতে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মান করতে না পারে সে ব্যবস্থাও গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply