রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪১ অপরাহ্ন
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি॥ পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তৃনমূলের ভোটে নৌকার মাঝি হলেন চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি মো: মকবুল হোসেন দফাদার। কলাপাড়া থেকে কেন্দ্রে পাঠানো তালিকায় তার নাম এক নম্বরে। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার প্রবীন আওয়ামীলীগ কর্মীদের দাবি প্রকৃত আওয়ামীলীগ পরিবারের সদস্যকে নৌকা প্রতীক না দিলে এ ইউনিয়নে নৌকার ভরাডুবি হবে। তাই বিএনপি নেতা মকবুল হোসেন দফাদারকে মনোনয়ন না দিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেন চাকামইয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত হাওলাদারের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম।
মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিঁনি বলেন, ২০০৫ সালে চাকামইয়া ইউনিয়ন বিএনপির ৯নং ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মকবুল হোসেন দফাদার। ২০১২ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনাষ্ঠানিকভাবে একটি মেজবান অনুষ্ঠানে বসে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে দলের ত্যাগী নেতা বনে যান এ বিএনপি নেতা। এর পুরস্কার হিসেবে ২০১৩ সালে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের গঠিত কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে স্থান পায়। লিখিত বক্তব্যে হোসনেয়ারা বেগম বলেন, কাউন্সিল ছাড়া তৎকালীন স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতাদের নির্দেশে ওই কমিটিতে সহসভাপতির পদ পায় মকবুল হোসেন দফাদার।
তিঁনি দাবি করেন. আওয়ামীলীগকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্ঠি করার জন্য বিএনপির সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেনকে ইউনিয়ন পরিষদ কাউন্সিলে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহনের সুযোগ দিয়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের ক্রমশ দূরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। কারন চাকামইয়া ইউনিয়নটি বিএনপি-জামায়াতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত। এ কারনে তৃনমূলের ভোটে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির কেরামতকে দ্বিতীয়, প্রথম ও তৃতীয় স্থানে কেন্দ্রে নাম পাঠানো হয় মগবুল হোসেন দফাদার ও সাবেক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোতালেব হাওলাদারের নাম। তিনজনের তালিকায় দুইজনই বিএনপি নেতা।
এ কারনে এলাকায় ত্যাগী নেতাদের মধ্যে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে বলে জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন বিএনপির এই দুই নেতাকে বাদ দিয়ে ত্যাগী যেকোন আওয়ামীলীগ কর্মী কে মনোনয়ন দেয়ার জন্য।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার বলেন, মকবুল হোসেন দফাদার এক সময়ে বিএনপি করতো। পরে আওয়ামীলীগে যোগ দেয় সে।
তবে তৃনমূলের ভোটের দিন জেলা কমিটির নির্দেশে তাকে ভোটে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয় এবং তৃনমূলের ভোটে প্রথম হওয়ায় তার নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয। দলীয় মনোনয়ন কে পাবেন এ বিষয়টি সিদ্ধান্ত নিবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে মো. মকবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম বহুদিন আগে। আমি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি তাও ১৫ বছর হয়েছে।
আমি ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের জন্য অনেক কাজ করেছি। তা ছাড়া ২০১৬ সালেও আমি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলাম। তখন মনোনয়ন পাইনি। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করেছি। এখন তাহলে আমার মনোনয়ন চাইতে অসুবিধা কোথায়?’
Leave a Reply