বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয়,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ।। কলাপাড়া- কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের বালিয়াতলী খেয়াঘাটের ভাড়া আদায়ের নামে চলছে এক ধরনের চাঁদাবাজি। যেন কোন নিয়ম-নীতি নেই। জিম্মি হয়ে আছেন লাখো মানুষ। ইজারাদার ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের লাঞ্ছিত করা হয়। ইজারা অনেক বেশি হয়েছে, এমন অজুহাতে এ চাঁদাবাজি চলছে ফ্রি-স্টাইলে। যেখানে একটি ছাগলের খেঁয়া ভাড়া হওয়ার কথা চার টাকা।
রাখা হয়েছে এক শ’ টাকা করে। প্রতিটি গরু/মহিষ ১০ টাকা। রাখা হয়েছে ২৫০ টাকা। মানুষ, যাত্রী প্রতি ভাড়া চার টাকা। নেয়া হচ্ছে ১০টাকা।
আট টাকার মোটরসাইকেল ভাড়ায় রাখা হচ্ছে ৩০/৪০ থেকে ৫০ টাকা। রাত হলে এক শ’ টাকা পর্যন্ত। এভাবে বাইসাইকেল চার টাকা, বিভিন্ন মালামাল ৪০ কেজি পর্যন্ত তিন টাকা এবং রিক্সা-ভ্যান ছয় টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। ২০১৬ সালের মে মাসে উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত এ ভাড়া রেট অনুযায়ী কলাপাড়ায় অন্তত ২০টি খেঁয়া ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন।
সব ক’টিতে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু আলোচিত বালিয়াতলী খেয়াঘাট। কোন টোলরেট চার্ট টানানো নেই। কোন নিয়মের বালাই। আবার রমজান কিংবা কোরবানির ঈদকে ঘিরে বিশেষ চাঁদাবাজি চলে। বর্তমানে কোন কৃষক কোরবানির গবাদিপশু পার করলে রাখা হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকা। কোন কোন ক্ষেত্রে আরও বেশি। হাতে বহন করা ব্যাগ থেকে শুরু করা কোন মালামাল নিলে যা খুশি তাই রেখে দিচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসনসুত্রে জানা গেছে, ভ্যাট আইটি মিলে প্রায় এক কোটি টাকায় এ খেঁয়াটি ইজারা হয়েছে। বাংলা ১৪২৬ সালের জন্য মো. মামুন হাওলাদার এ খেঁয়াটির ইজারাদার। তবে আদায়ের দায়িত্বে রয়েছেন মো. মুছা। কুয়াকাটার বিকল্প পথ এটি। এছাড়া লালুয়া, বালিয়াতলী, ধুলাসার, ডালবুগঞ্জ ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মানুষ এ পথে চলাচল করছে। প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে তিন হাজার মানুষ, তিন শতাধিক মোটরসাইকেল পার হয় এ খেঁয়ায়।
এছাড়া বিভিন্ন রুটের মাছসহ বিভিন্ন পন্য নিয়ে আসেন মানুষ। সবাই জিম্মি দশায় পড়েছেন। মো. মুছা জানান, আমরা অনেক বেশি টাকায় ইজারা নিয়েছি। বেশি ভাড়া নেয়ার বিষয়টি টিএনও স্যার ডেকে নিষেধ করেছেন। তবে কোরবানি উপলক্ষ্যে যে যা খুশি অইয়া দেয় তাই নিচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান জানান, আদায়কারীসহ ইজারাদারকে যথাযথ নিয়ম অনুসারে খেঁয়া ভাড়া নেয়ার কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply