বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ফেনীতে অপহরণ করে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে। আর অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওষুধ খাইয়ে এবং ইনজেকশন দিয়ে ওই নারীর গর্ভপাত করিয়েছেন তার দেবর। জানা গেছে, অপহরণের এক মাস ৫ দিন পর ধর্ষণ মামলার বাদী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে (২২) উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত ১৪ মার্চ শনিবার রাতে ফেনী শহরের পূর্ব দেবীপুর এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। গত ৯ ডিসেম্বর কারাগার থেকে জামিনে বের হলে শফিউল্লাহর ছেলে রিয়াদ ও তাদের সহযোগী টাইগার স্বপন তাকে অপহরণ করে।
উদ্ধারের পর ওই নারী পুলিশকে জানান, অপহরণকারীরা তাকে ফেনী শহরের একটি বাসায় নিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওষুধ খাইয়ে এবং ইনজেকশন দিয়ে তার গর্ভের সন্তানকে মেরে ফেলেছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার ছাড়াইকান্দি এলাকার এক ওমান প্রবাসীর স্ত্রী তার চাচা শ্বশুর শফি উল্যাহকে আসামি করে গত ২২ নভেম্বর সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এতে বলা হয়, ওই নারীর স্বামী দুই বছর আগে ওমান চলে যান।
গত বছরের ১৮ জুন বাড়িতে অন্য কেউ না থাকায় তাকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন চাচা শ্বশুর শফি উল্যাহ। পরে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারেন ওই নারী গর্ভবর্তী। মামলা দায়েরের পর ২৬ নভেম্বর অভিযুক্ত শফি উল্যাহ ফেনীর আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। এ সময় মামলার বাদীও একই আদালতে হাজির হন। বাদী আদালতে লিখিত আবেদনে এ মামলার আসামিকে জামিনের আপত্তি নেই বলে জানান।
লিখিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওই ঘটনার রাতে একজন অপরিচিত লোক তার ঘরে ঢুকে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। তার শ্বশুরদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ থাকায় শাশুড়ির কথামতো ওই মামলা করেছেন। ওই মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে আদালতের আদেশে বেঞ্চ সহকারী রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ওই নারীর বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে মিথ্যা মামলা করায় আরেকটি মামলা করেন। পরে মিথ্যা ধর্ষণের মামলা করায় বাদীকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত।
তবে ভুক্তভোগী গৃহবধূ বলেন, আমি লেখা পড়া জানি না। আমাকে আদালতে এনে কি সব লিখে টিপসই নিয়েছে। আমাকে জানায় আমার কোন সমস্যা হবে না। সেখানে কি লিখা ছিল সে ব্যাপারে কিছুই জানা নেই বলে জানান ওই গৃহবধূ।
Leave a Reply