শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫১ অপরাহ্ন
ফিরোজ মাহামুদ:
শাহিনুর বেগম, বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের হবিনগরের বাসিন্দা। দির্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি ঐ এলাকায় একটি টিনের ঘর র্নিমান করে বসবাস করছেন। ১৫ বছর পূর্বে তিনি শায়েস্তাবাদের চরআইচা’র বাসিন্দা মো: খলিলুর রহমানের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করে ঘর নির্মান করেন। একই এলাকার মোতালেব হাওলাদার নিজে উপস্থিত থেকে অসহায় নারীর জমি ক্রয়ে সহযোগীতা করেন। হঠাৎ জমি ক্রয়ের সময় দালালী করা মোতালেব হাওলাদার ঐ জমিতে নিজের ভাগ আছে বলে দাবী করে।
যা সম্পূর্ন মিত্যা বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা। মোতালেব শুধু নিজেরই নয় ঐ জমিতে আরো দুজনের ভাগ রয়েছে বলে দাবী করে। বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শাহিনুর বেগম স্থানীয় উপজেলা পরিষদ ও বরিশাল কাউনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে মোতালেব হাওলাদার ও পাশ্বর্তী জমির লোকমান এবং সুলতান গাজী মিলে শাহিনুর বেগমের জমিতে থাকা তিনটি গাছ কেটে নেয়। পরে কাউনিয়া থানা পুলিশের এস আই বশির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ বিক্রি না করার জন্য নির্দেশ দেন। একই সাথে গাছ বিক্রির টাকা নিজের কাছে রাখেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী শাহিনুর বেগম বলেন, ২০১৩ সালে ১৫ ডিসেম্বর শায়েস্তাবাদের চরআইচা’র বাসিন্দা মো: খলিলুর রহমানের কাছ থেকে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন তিনি। ঐসময় মোতালেব হাওলাদার ঐ জমি কিনতে তাকে সহযোগীতা করে।
এর জন্য তাকে টাকাও দেয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে জমি থেকে তাকে উচ্ছেদের পায়তারা চালায় স্থানীয় ভুমিদস্যু মোতালেব হাওলাতার ওরফে মতি। জমি’র সমাধান চাইতে গেলে তিনি তাকে কু প্রস্তাবও দিয়েছেন বলে জানান শাহিনুর বেগম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, মোতালেব কাউনিয়া থানা পুলিশের সাথে হাত করে আমারসহ বিভিন্ন লোকের জমি দখল নেয়ার পায়তারা করছে। পঙ্গুত্বের দোহাই দিয়ে বাড়িতে বসে মানুষের জমি দখল করছে। অভিযোগ অস্বিকার করে মোতালেব হাওলাদার বলেন, আমি ঐ জমি ক্রয়ের সময় ছিলাম না। সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জমির কাগজ পত্র দেখে যে সমাধান দো হবে আমরা তাই করবো। স্থানীয়রা বলেন, মোতালাবে হাওলাদার (মতি) সাধারন মানুষসের জমি’ন দালালি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে এ জমির নকল দলিল করে নিজের বা আর একজনের নাম ঢুকিয়ে ফায়দা লোটেন। তার সাথে পুলিশের ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে। এই এলাকায় তার কাছে সবাই জিন্মি।
কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে তাকে মামলার ভয় দেখায়। এবিষয়গুলো নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারাও এসেছেন কিন্তু উনি কাউকেই মানছেননা। তিনি আরো অনেকের জমি নিয়ে টালবাহানা করেছে। এবিষয়ে কাউনিয়া থানার এস আই মিজান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মোতালেব হাওলাদার শুধুই একটা ঝামেলা পাকিয়েছে। বিষয়টি দ্রুতই সমাধান করা হবে।
ক্রয় সুত্রে জানাগেছে, ২০১৩ সালে শাহিনুর বেগম বিএস ৮১০ নং খতিয়ানের বিএস হাল ৪১১,৪২২ নং দাগে ৬শতাংশ জমি ১ লক্ষ চাটার বিনিময়ে ক্রয় করেন। এব্যপারে স্থানীয় মেম্বার আনোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, মোতালেব হাওলাদার নিজের গায়ের জোরে ঐ জমি দখল করতে চাইছে। ভুক্তভোগী নারী আমাদের কাছে বিচার দিয়েছে। শুনেছি মোতালেব গং তার বাড়ির গাছ কেটে নিয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধোনের জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এবিসয়ে শায়েস্তাবাদ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মুন্না’র সাথে মুঠো ফোনে আলাপের করলে তিনি ফোনটি কেটে দেন।
Leave a Reply